১২ জানুয়ারি, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন এসে পৌঁছল কলকাতা বিমানবন্দরে। আগামী ১৬ জানুয়ারি, শনিবার থেকে শুরু হবে টিকাকরণ দেশজুড়ে। নবান্নের তরফ থেকে বলা হয়েছে আজ ৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ভ্যাকসিন কলকাতায় স্টকে এসেছে।

বিমান বন্দর থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পণ্যবাহী ট্রাকে করে বাগাবাজারে কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল স্টোরে পৌঁছয় কোভিশিল্ড। পুণের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে বিশেষ বিমানে কলকাতায় এসেছে ভ্যাকসিন। বাগবাজারে সেন্ট্রাল স্টোরে রাখা হবে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। সেখান থেকে বিভিন্ন ভ্যাকসিন বন্টন শুরু হবে জেলায় জেলায়। কলকাতার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৯৩ হাজার করোনা ভ্যাকসিনের ফয়েল। আজ থেকেই কলকাতার সংলগ্ন জেলা হুগলি, উত্তর ২৪ পরগণা, বীরভূম, উত্তরবঙ্গের ছটি মেডিক্যাল কলেজে প্রথমে ভ্যাকসিন পাঠানাের কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে বলে জানায় স্বাস্থ্য দফতর।

ইতিমধ্যে টিকাকরণের জন্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। কো-উইন অ্যাপে যাদের নাম নথিভুক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হবে নাম। প্রথম দফায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, এসএসকেএম হাসপাতাল, এনআরএস হাসপাতালে দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। ভ্যাক্সিনেশনের জন্য প্রাথমিক স্কুল, অঙ্গনওয়াড়িগুলিকে বেছে নিয়েছে কেন্দ্র। জেলা হাসপাতাল, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, গ্রামীণ হাসপাতালেও দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। ভ্যাক্সিনেশনের জন্য প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ােগ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রতি ডোজ কোভিশিল্ডের দাম ২০০ টাকা ধার্য হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সরকারকে ১.১ কোটি ডোজ দেবে সেরাম। আপাতত ২০০ টাকা করে পড়ছে প্রথম ১০ কোটি ডোজের দাম। সেক্ষেত্রে প্রথম দফায় স্বাস্থ্যকর্মী, হোমগার্ড ও সাফাইকর্মীদের বিনামূল্যে টিকাকরণ করার ব্যাপারে গতকালই আশ্বস্ত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।