পরিত্যক্ত কুয়ো, ব্যবহার করেন না কেউই। সেই কুয়ো থেকেই ভেসে এসেছিল ক্ষীণ শব্দ। পথচলতি এক ব্যক্তি ভাল করে কান পাততেই শুনতে পান শিশুর কান্নার আওয়াজ। ব্যাস, তারপরই হুলুস্থুল পড়ে যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশ-প্রশাসনে। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা ধরে উদ্ধারকাজ চালানোর পর, অবশেষে মঙ্গলবার কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হল নবজাতক শিশুটিকে। মঙ্গলবার ওড়িশার সম্বলপুরে একটি কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হয় নবজাতক শিশুকে। পুলিশের অনুমান, শিশুটির বয়স দুই-তিন দিন। কে বা কারা ওই শিশুটিকে পরিত্যক্ত কুয়োয় ফেলে গেছে, তা এখনও জানা যায়নি। এখনও অবধি শিশুটির কোনও দাবিদারও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2023/12/Gold-Illustration-Greeting-Durga-Puja-Facebook-Event-Cover-Photo-47-1024x576.jpg)
জানা গিয়েছে, সম্বলপুরের রেঙ্গালির লারিপালিতে একটি খোলা পড়ে থাকা পরিত্য়ক্ত কুয়ো থেকে শিশুর কান্না ভেসে আসে। এলাকার বাসিন্দারা উঁকি-ঝুকি দিয়ে শিশুটিকে দেখতে পেতেই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও দমকলে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে আসে দমকল বাহিনী। মাটি খননের মেশিন এনে কুয়োর চারপাশের মাটি কাটা হয়।
খননকাজ যত এগোয়, ততই স্পষ্ট হয় শিশুটির কান্না। কুয়োর ভিতরে আটকে থাকা শিশুটির অবস্থান বুঝতে পাঠানো হয় ক্যামেরা। শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য রাখতে বিশেষ ল্যাম্পও পাঠানো হয় কুয়োর ভিতরে। উদ্ধারকাজে সাহায্য করতে বিমানে করে বিশেষ অপটিক্যাল ফাইবার ও ক্যামেরাও পাঠানো হয়। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টার প্রচেষ্টার পর অবশেষে কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হয় নবজাতককে। বর্তমানে সম্বলপুরের একটি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই শিশু।