বাড়িতে সদ্যোজাত আগমনের খবর পেয়েই বৃহন্নলাদের আগমন নতুন কিছু নয়। কিন্তু, তাদের আগমনের কারণেই মর্মান্তিক, যন্ত্রনাদায়ক শব্দগুলোও বোধহয় লঘু হয়ে যায় ঘটনাটির ক্ষেত্রে। ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে মাত্র ২০ দিনের একরত্তি। সেই ২০ দিনের ছোট্ট শিশুকে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে মায়ের থেকে দূরে রাখার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় বৃহন্নলাদের বিরুদ্ধে। দীর্ঘক্ষণ খিদের জ্বালা আর সেই সঙ্গে তীব্র ঢোলের আওয়াজ সহ্য করতে না পেরে প্রাণ হারালো শিশুটি। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক থানার বাঙালগ্রামে। শিশুমৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে এলাকাবাসী রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। ইতিমধ্যেই শিশুটির পরিবারের তরফে বৃহন্নলার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় মানিকচক থানায়। আর তারপরেই অভিযুক্তকে হাতে নাতে ধরে পুলিশ ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ শে অক্টোবর মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিন সন্তানের জন্ম দেন বাঙালগ্রামের বাসিন্দা মাম্পি মাঝি । বর্তমানে তিনি ওই তিন সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন । হঠাৎই ওই সন্তানদের শুভ কামনায় তার বাড়িতে হাজির হয় এক স্থানীয় বৃহন্নলার দল। শিশুদের শুভকামনার নামে তিন ঘণ্টা ধরে শিশুটিকে নিজের কাছে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে ওই বৃহন্নলা দলের বিরুদ্ধে ।
জানা যায় যে, তারা আসামাত্রই জোরে জোরে ঢোল বাজাতে থাকেন। এমনকি শিশুটিকে খেতেও দেওয়া হয়নি । এরপরেই বৃহন্নলাদের তরফে দাবি করা হয় বারোশো টাকা । কিন্তু, মাম্পি দেবীর পরিবার তা দিতে অপারগ হওয়াই শিশুটিকে দীর্ঘক্ষন আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এর পরেই দেখা যায় নেতিয়ে পড়েছে শিশুটি। ঘটনাটিকে ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে । খবর চাউর হতেই ওই বাড়িতে ছুটে যান মানিকচক থানার পুলিশ। অভিযুক্ত দলটিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এমনকি এক আশা কর্মী বৃহন্নলাকে ফোন করে শিশুটিকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে বলেন । অভিযোগ উঠেছে, এরপরেই ওই আশা কর্মীকেও হুমকি দেওয়া হয় বলে । ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।