স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি, ভয় কমছে। দেড় বছর ধরে বন্ধ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাই পুনরায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে ১ লা সেপ্টেম্বর থেকে ধাপে ধাপে স্কুল, কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার। যদিও এই সিদ্ধান্তে কিছুটা আপত্তি জানিয়েছেন চিকিৎসক মহল। শিক্ষা দপ্তর সুত্রে খবর কোনো পড়ুয়াকে স্কুল কলেজে আসতে জোরাজুরি করা হবে না। এই সম্পর্কিত কিছু নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মহল।আগামী পয়লা সেপ্টেম্বর থেকেই আবার আগের মত পঠন পাঠন শুরু হবে স্কুল, কলেজ কোচিং সেন্টারে। যদিও এখন নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে পরে পরিস্থিতি বুঝে সংখ্যাটা আরো বাড়ানো হবে। এদিন রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিশোদিয়া জানিয়েছেন,ছাত্র – ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে স্কুলে আসতে গেলে অভিভাবকের অনুমতি পত্র ব্যতীত প্রবেশ করা যাবে না।
স্কুলে মানতে হবে শারীরিক দূরত্ব, মাস্ক – স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক। তবে জোর করে কাউকে স্কুলে পাঠানো যাবে না। এমনকি অনুপস্থিত থাকলও রেজিষ্টারে সেটা উল্লেখ করা যাবে না।স্কুল খোলার ব্যাপারে চিকিৎসক ডক্টর উইগ জানিয়েছেন, বহুল হারে সংক্রমণ বাড়ছে। সকলের প্রতিষেধক নেওয়া হয়নি। তিনি আরো জানান এখনও ঝুকি কাটেনি। ছুটির মরসুম আসন্ন। তাই সংক্রমনের আশঙ্কা রয়েছে প্রবল। দেশে কয়েকটি রাজ্যে এখনও পরিস্থিতি উত্তাল বলে এইমস এর প্রধান ডক্টর উইগ জানিয়েছেন। যদিও তিনি শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্তকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। কারন একঘেয়ে জীবনে অভ্যস্থ শিশুরা গৃহবন্দী হয়ে অনেক অসহায় হয়ে পড়েছেন। তাদের সার্বিক বিকাশের জন্য স্কুল কলেজ খোলা হলেও তা যেনো কোনো ভাবে শিশুদের পক্ষে হানিকারক না হয় মন্তব্য উইগের।