রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সভা করার অনুমতি দিচ্ছে না প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সেন্ট্রাল পার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে বলেন, আমরা এত দূরে এগিয়েছি, মনে হয় খুব বেশিদিন এটা চলবে না।
এদিন কালীঘাটে পদ্ম ফোটানো প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, অসম্ভব কিছু না সবই হতে পারে পরিবর্তনের বছর চলছে অনেক কিছুই হতে পারে আমরা অপেক্ষা করব। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই একটি জনসভা থেকে কালীঘাটে পদ্ম ফোটানোর হুঙ্কার দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন শিশির অধিকারী প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, উনি (শিশির অধিকারী) বরিষ্ঠ রাজনীতিবিদ। উনি জানেন কখন কি করতে হবে। এখন যা চলছে সেটা তৃণমূলের ভেতরের ব্যাপার। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তাঁর মন্তব্য আমার একটা বুথ সভাপতিকে নিয়ে যাক দেখব যার পার্টি থেকে মন্ত্রী-সাংসদ চলে যাচ্ছে আর এরকম স্বপ্ন দেখলে হবে? উনি ঠিক করুক কি করবেন।
আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গের যে নির্বাচন হয় সেটা সারা দেশের মধ্যে ব্যতিক্রম। একইসঙ্গে নির্বাচনের বিগত দিনের ঘটনা তুলে ধরে কমিশনে জানানো কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, আশা করছি, কমিশন খুঁটিতে দেখবেন যাতে করে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট হয়। ভালোভাবে দেখবেন যাতে ঠিকঠাক ভোট হয়।
এদিন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, যার লেজ কেটে যায়, সে চায় সবার লেজ কেটে যাক। উল্লেখ্য, গতকালই নারদকাণ্ডে মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের দাবি তোলেন কুণাল ঘোষ। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আজ দিলীপবাবু বলেন, ওঁদের গ্রেফতার করা হলে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গ্রেফতার করতে হবে, উনি এইসব চিটফান্ড কোম্পানি গুলোর বিমান ব্যবহার করেছেন, অ্যাম্বুলেন্স উদ্বোধন করেছেন। সেই দাবিটাও তাহলে করুক কুণাল। বাকি যা করার ইডি বা সিবিআই করবে।
এদিন বাগবাজারে অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যা হয়েছে খুবই দুঃখজনক। পুলিশের পক্ষ থেকে লাঠিচার্জের অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, এর আগে কলকাতার বহু বস্তি বাজারে আগুন লাগানো হয়েছে সেই সমস্ত জায়গায় নির্মাণ করার জন্য চক্রান্ত যদি হয়েই থাকে, তবে তদন্ত হওয়া উচিত।