অবশেষে থামল ইসরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধ। দীর্ঘ ১১দিন ভয়াবহ যুদ্ধের পর কার্যকরী হল যুদ্ধবিরতি। আজ থেকেই কার্যকরী হয়েছে এই যুদ্ধবিরতি। আন্তর্জাতিক চাপ এবং মিশর, কাতারের মধ্যস্থতায় অবশেষে কার্যকরী হল যুদ্ধবিরতি।
এই যুদ্ধবিরতিতে সায় দিয়েছে ইসরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসও। ইসরায়েল এবং হামাসের যুদ্ধে বিরতির প্রস্তাব দিয়ে হস্তক্ষেপ করেছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রতিনিধি দল পাঠান মিশরের প্রেসিডেন্ট ফতাহ আল সিসিও। এই যুদ্ধের তীব্র নিন্দা করেন রাষ্ট্রসংঘের ভারতীয় প্রতিনিধি তিরুমূর্তি। তিনি বলেন “গাজা থেকে ইজরায়েলে হওয়া লাগাতার রকেট হামলার আমরা নিন্দা করছি। এর ফলে বেশ কয়েকজন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। পালটা গাজায় ইজরায়েলর বিমান হানায় প্রাণ গিয়েছে অনেকের। এই সংঘাতে এক ভারতীয় নাগরিক সহ নিরীহ মানুষের মৃত্যুতে আমরা গভীর দুঃখপ্রকাশ করছি।” যুদ্ধবিরতির পক্ষে মত দেন তিনিও। যদিও কয়েকদিন আগে ইসরায়েলের বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছিলেন যে গাজার উপর রকেট নিক্ষেপ অব্যাহত রাখবে ইসরায়েল, কিন্তু এদিন তাঁর দপ্তর সূত্রে জানানো হয় যে নিশর্ত যুদ্ধবিরতিতে রাজী হয়েছে প্রতিরক্ষা দপ্তর। এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরই কার্যত উৎসব শুরু হয়ে যায় গাজায়। যদিও কতদিন স্থায়ী হবে এই যুদ্ধবিরতি, তা নিয়ে যথেষ্ট দ্বন্দে পর্যবেক্ষকেরা।