‘বহিরাগত’ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে পারিবারিক আক্রমণ দিলীপের । এম ভারত নিউজ

user
0 0
Read Time:4 Minute, 8 Second

বহিরাগত ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে পারিবারিক আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার হাওড়ার পাঁচলায় এক দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দিলীপ বলেন, ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব খাড়া করে বিভাজনের রাজনীতি করছেন দিদিমণি। একইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, পাঞ্জাবী বউমা সোনা আনে বলে কি সে বহিরাগত নয়?

এদিনের সভার শুরু থেকেই দিলীপের সুর ছিল সপ্তমী। বহিরাগত প্রসঙ্গে তৃণমূলকে
একের পর এক কড়া আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, ‘গুজরাত থেকে এসে অমিত শাহ, মোদিজি ভোটে জেতালে বহিরাগত, আর বিহার থেকে এসে ভোটে জেতালে তিনি বহিরাগত নয়? নিজের বাড়িতে পাঞ্জাবি বউ নিয়ে এসেছেন সেটা বহিরাগত নয়? কেন সোনা নিয়ে আসে, সেইজন্য না কি?’

বহিরাগত তকমা খন্ডাতে দিলীপবাবু ইতিহাসের সাহায্য নিয়ে বলেন, ‘পশ্চিমবাংলায় বসে জাতীয় সংগীত লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ, বন্দেমাতরম লিখেছেন বঙ্কিমচন্দ্র। সারা দেশের মানুষ গ্রহণ করেছে। এখানকার বিপ্লবীরা সারা দেশে গিয়ে বিপ্লব করেছেন। আমাদের রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসীরা সারা দেশে গিয়ে মঠ প্রতিষ্ঠা করেছেন। সারা দেশের লোক সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করেছে। এই লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বাইরে গিয়ে কাজ করছে, কেউ একবার বলেনি বাঙালিদের বহিরাগত’। মুখ্যমন্ত্রীর মুখে বহিরাগত তত্ত্ব বাঙালিকেই বিপদে ফেলবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘ওনারা বিভাজনের রাজনীতি করে, এর শেষ করতে হবে’।

এদিন তৃণমূলের রক্তক্ষরণ প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, মান সম্মান নিয়ে টানাটানি পড়ে যাচ্ছে। আর তাই তৃণমূল ছেড়ে দিচ্ছেন নেতা থেকে কর্মীরা। এতদিন বিজেপির বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ তুলছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। এজন্য বিজেপিই দায়ী করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই অভিযোগ নস্যাৎ করতে গিয়ে দিলীপ বলেন, যে লোক সকালে চা খাচ্ছেন দিদির সঙ্গে, তিনিই আবার বিকেলে বলছেন তৃণমূলের সঙ্গে নেই। অর্থাৎ দলে নেতারা আজ বিরক্ত। আমাদের মন বড়, তাই সবাইকে দলে নিচ্ছি। তাঁর দাবি, সংখ্যালঘুদের জন্য কিছুই করেনি শাসকদল। এরপরই তাঁর প্রশ্ন, যদি কাজই করে থাকেন তবে ভয় পাচ্ছেন কেন দিদিমণি?

এদিনের সভাতেও তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহু কর্মী সর্মথক বিজেপিতে যোগদান করেন। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ হাওড়ার জেলা সভাপতি প্রত্যুষ মণ্ডল,হাওড়া সদরের সভাপতি সুরজিৎ সাহা, বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। এদিন দিলীপ ঘোষের জনসভাকে ঘিরে ১৬ নং জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোড এলাকা কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Next Post

গঙ্গাসাগর মেলায় এবার ব্যবস্থা থাকছে ই-স্নানের । এম ভারত নিউজ

আগামীকাল থেকেই জমে ওঠার কথা গঙ্গাসাগর মেলা । তবে প্রতিবারের মত চেনা ভিড় এবার উধাউ । করোনাকালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর থেকে কঠোরতর করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে । প্রত্যেক পুণ্যার্থীদের ক্ষেত্রে মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের ব্যবহার বাধ্যতামূলক । এবারে যারা শারীরিক ভাবে মেলা প্রাঙ্গনে আসতে পারছেননা তাঁদের জন্যে সরকারের তরফ থেকে […]

Subscribe US Now

error: Content Protected