বাড়িতে শোকের পরিবেশ। চলছে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের তোড়জোড়। সাদা কাপড়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা বাড়ি। প্রিয়জনকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন বাড়ির সদস্যরা। আচমকাই দেখা গেল শ্রাদ্ধের জন্যে যাঁর ছবিতে মালা দেওয়া হয়েছে তিনিই দিব্যি হেঁটে আসছেন । সেকি ! ভুত নাকি ? আজ্ঞে না । না কোন ভুতুড়ে গল্প নয়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যিই । এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তর চব্বিশ পরগনার বিরাটি। ঠিক কী হয়েছিল পড়ুন।
৩ নভেম্বর করোনা আক্রান্ত হয়ে খড়দার বলরাম বসু সেবামন্দির কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিরাটির বাসিন্দা শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও খড়দার বাসিন্দা মোহিনীমোহন মুখোপাধ্যায়কে। সেদিন রাতেই বারাসতের কোভিড হাসপাতালে ২ জনকে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে সঙ্কটজনক অবস্থা থাকায় শুধুমাত্র মোহিনীমোহনকেই বারাসতে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু তাঁর সঙ্গে চলে যায় শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত নথি। আর তাতেই যত বিপত্তি। শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচয়ে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে থাকেন মোহিনীমোহন মুখোপাধ্যায়। তবে ১৩ নভেম্বর তাঁর মৃত্যু হলে স্বাভাবিকভাবেই সেই খবর যায় শিবদাসবাবুর বিরাটির বাড়িতে। তাঁর পরিবারের সদস্যরা শিবদাসবাবুর দেহ ভেবে মোহিনীমোহনের দেহ সৎকার করেন। হাতে চলে আসে ডেথ সার্টিফিকেটও। এদিকে, ২০ নভেম্বর, শুক্রবার সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছুটি পান শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার ছিল শ্রাদ্ধ। আর তার ঠিক আগের রাতেই অ্যাম্বুল্যান্সে চেপে বাড়ি ফিরলেন শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই ঘটনায় রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিরুদ্ধে চরম গাফিতলির অভিযোগ তুলেছে পরিবার। বিষয়টি নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে স্বাস্থ্য ভবন। ৪ সদস্যের এক তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।