ফের পিছিয়ে গেল নারদা মামলার শুনানি, পরবর্তী শুনানি হবে আগামীকাল বেলা ১২ টায়। আজও মিললনা জামিন। হাইকোর্টে পূর্বনির্ধারিত নির্দেশ অনুসারে এখনও গৃহবন্দীই থাকতে হবে ৪ হেভিওয়েট নেতাকেই। আজ মামলার শুনানির শুরুতেই দুই পক্ষের বাদানুবাদের মধ্য দিয়েই চলতে থাকে একে অপরকে ডিফেন্ড করে যাওয়ার কঠিন লড়াই। তবে আজ এই বিতর্কের খেলার শুরু থেকেই, দুই পক্ষের আবেদনের বাইরে বেরিয়ে, “আইনের শাসন” নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সিবিআইয়ের তরফের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা।
তিনি বলেন, সিবিআইয়ের তরফ থেকে করা গ্রেপ্তার অপ্রাসঙ্গিক হলে, ওই একই দিনে ৪ হেভিওয়েট ধৃতকে জামিন দেওয়া ঠিক কতটা নৈতিকতার পরিচয় দেয়! পাশাপাশি একই দিনে নিজাম প্যালেসের সামনে যে বিপুল জনরোষ দেখতে পাওয়া গিয়েছিল তা বিচার ব্যবস্থাকে ঠিক কতটা প্রভাবিত করে সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। সেই প্রেক্ষিতে বিচারকমণ্ডলী তরফ থেকে উত্তর দেওয়া হয়, দেশে এই প্রথমবার জনরোষের ঘটনা সামনে আসেনি , তবে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক যদি এই জনরোষ দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে থাকে তাহলে এই উদাহরণ ভিত্তিহীন।
ওদিকে নারদ মামলায় ৪ অভিযুক্তের জামিনের পক্ষে চারটি আবেদন জমা পড়েছে। সেদিকেই মূলত প্রাধান্য দেওয়া হয় আদালতের বিচারক মন্ডলী তরফে। আদালতের এই রূপ সিদ্ধান্তে আদালতের ন্যায্য বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা এবং এর ফলে আজ আদালতের ৫ বিচারকমণ্ডলীর রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে পরবর্তীতে নিজের ভুল স্বীকার করেন তিনি । যদিও শেষ পর্যন্ত বাদানুবাদের মধ্য দিয়েই পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য হয় আগামীকাল।