এক বছর আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে দিয়েছিলেন ২০২৪ সালে দুর্গাপুজোর ছুটি পড়বে চতুর্থীর দিন থেকে। সেই হিসেব ধরলে এবার চতুর্থী পড়েছে ৭ অক্টোবর, সোমবার। তার আগে দু’দিন শনিবার এবং রবিবার পড়ায় কার্যত পুজোর ছুটি শুরু হয়ে যাচ্ছে দ্বিতীয়ার দিন অর্থাৎ ৫ অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে পুজোর ছুটি।
অন্যদিকে, গত ক’য়েক বছর ধরে লক্ষ্মীপুজোর পরে দিন দু’য়েকের বাড়তি ছুটি পেয়ে আসছেন সরকারি কর্মচারীরা। এ’বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। নবান্ন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, এবার ১৮ তারিখ পর্যন্ত পুজোর ছুটি থাকবে। সরকারি অফিস খুলবে ১৯ অক্টোবর, শুক্রবার থেকে। তাহলে এবছর হাতে কলমে পুজোর ছুটি দাঁড়াল ১৪ দিনে। এরপর ২০ অক্টোবর শনিবার এবং ২১ অক্টোবর রবিবার ধরলে আরও দু’দিন অর্থাৎ ১৬ দিন ছুটি থাকছে রাজ্যের সরকারি অফিসের কর্মচারীদের। অর্থাৎ অক্টোবরে প্রায় অর্ধেক মাস জুড়ে বন্ধ থাকবে সরকারি অফিসগুলি। এই আবহে নবান্নে অক্টোবরের শুরু থেকেই ছুটির আবহ।
উল্লেখ্য, এবছর নবরাত্রি ৩ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর। এই উপলক্ষে নবরাত্রির সূচনার দিনে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ছুটি ঘোষণা করেছে। দশেরার দিন ১২ অক্টোবরও ছুটি থাকছে ব্যাঙ্ক। এমনিতেই সেদিন দ্বিতীয় শনিবার, ব্যাঙ্ক ছুটিরই দিন।
অন্যদিকে, রাজ্যের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতির জন্য ২৪ ঘন্টা খোলা থাকছে নবান্নের কন্ট্রোল রুম। তাই বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মচারীদের ছুটি থাকছে না। সেচ দফতরের কর্মচারীরাও শর্তাধীন ছুটির আওতায় থাকছেন। এছাড়াও পুজোয় টানা চোদ্দ দিনের ছুটি পাচ্ছেন না জমি রেজিস্ট্রেশন অফিসের অনেক কর্মচারীরা।
পুজোর ছুটিতেই অনেকে জমি জায়গা রেজিস্ট্রেশন করতে চান। এখন অনলাইনের মাধ্যমেই রেজিস্ট্রেশন হয়। সেই সুবিধে থেকে যাতে মানুষ বঞ্চিত না হন, সেজন্য পুজোর ক’টা দিন ছাড়া জমি রেজিস্ট্রেশন অফিসের কর্মচারীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে বলা হয়েছে।
ন্যাশনাল ইম্পট্যান্স অ্যাক্ট তথা এন আই অ্যাক্ট অনুযায়ী ২০২৪ সালে মোট ২২ দিন ছুটি রয়েছে। এর ওপর রাজ্য সরকারের আরও ২৩ দিন ছুটি রয়েছে। ফলে এই বছরে মোট ৪৫ দিন ছুটি পেতে পারেন সরকারি কর্মচারীরা। ফলে পুজোর সময় বাড়তি ছুটি দিতে দরাজ হতে বাধা নেই রাজ্য সরকারের।