বাদল অধিবেশনে হট্টগোল। তাই সংসদের শীতকালীন অধিবেশন থেকে গতকাল সাসপেন্ড করা হয় বিভিন্ন দলের ১২ জন সাংসদকে। আর সেই সাসপেনশন প্রত্যাহারের আবেদনই করেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু বুধবার সাংসদদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের আবেদন খারিজ করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু। এরপরেই রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করল বিরোধী পক্ষ। গতকাল প্রথমবার সংসদের ইতিহাসে নজিরবিহীনভাবে ১২ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। এদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলেরও দুই রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন এবং শান্তা ছেত্রী। এছাড়াও আছেন ৬ কংগ্রেস সাংসদ, এক সিপিএম সাংসদ, এক সিপিআই সাংসদ, এবং দু’জন শিব সেনা সাংসদ। এভাবে সাংসদদের সাসপেন্ড করায় মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখালেন বিরোধীরা। যদিও এদিনও কংগ্রেস ও তৃণমূলকে আলাদা আলাদা ভাবেই বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গেল সংসদ ভবন চত্বরে।
কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের প্রশ্ন, “ঘটনাটি ঘটেছিল বাদল অধিবেশনে, সেই ঘটনায় কীভাবে শীতকালীন অধিবেশনে পদক্ষেপ নেওয়া হয়!” যদিও এ প্রসঙ্গে ভেঙ্কাইয়া নাউডুর বক্তব্য, “প্রয়োজনে হাউজ তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান সাংসদদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতেই পারে।” রাজ্যসভার চেয়ারম্যান আরও বলেন, “গতবারের তিক্ত অভিজ্ঞতা এখনও মনে আছে আমাদের। আশা করেছিলাম সংসদীয় নেতারা সেই বিষয়ে নিন্দা করবেন।”