নির্ধারিত সময়ের আগে ল্যান্ড ফল হলেও পশ্চিমবঙ্গের ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিপর্যয়ের পরিমাণ খুব বেশি নয়। তবে ইয়াসের দোসর হিসেবে সঙ্গ দিয়েছিল আজ বুদ্ধপূর্ণিমার ভরা কোটাল। ফলত সমুদ্রে জলের উচ্চতা রেকর্ড মাত্রায় বৃদ্ধির কারণে বিপুল জলরাশি ঢুকে পরে বিভিন্ন নদীর মাধ্যমে । আর সেই কারণেই ইতিমধ্যে রাজ্যে মোট ১৩৪ টি বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা, এমনটাই জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে মোট পূর্ব মেদিনীপুরের ৫১টি বাঁধে ভাঙ্গন দেখা গেছে ।অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, বকখালি প্রভৃতি এলাকায় একের পর এক গ্রামে প্লাবিত হওয়ার কথা জানা যায়।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/05/6-1024x560.png)
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আজ রাজ্যে ইয়াসের ফলে যে বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করতে গিয়ে আজ নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন , প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মোট ১৫ টি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে, ওদিকে সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের মধ্যে সাগর, পাথরপ্রতিমা এবং নামখানায় জল ঢোকার খবর উঠে এসেছ।ইতিমধ্যেই যে সমস্ত এলাকাগুলি নদী বাঁধের ফেটে যাওয়ার কারণে প্লাবিত হয়েছে সেখানে উদ্ধারকার্যে নেমেছে সেনা ও এনডিআরএফ। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকৃত ব্যক্তিদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে ত্রাণ শিবিরে।
আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিপর্যস্ত নদী বাঁধ গুলিকে দ্রুততার সঙ্গে মেরামতের কাজে হাত দিতে হবে।পাশাপাশি আজ নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন আগামীকাল হাই টাইডের সম্ভাবনা রয়েছে। আর তার ফলে যে জলস্তর বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে তা প্রায় ৫ থেকে ৬ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উঠতে পারে বলেই জানা যাচ্ছে। এমনকি এই জলস্তর আগামী দুদিন পর্যন্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি। রাজ্যে ইতিমধ্যেই একজনের মৃত্যুর খবর উঠে এসেছে যদিও সেই মৃত্যুকে মুখ্যমন্ত্রী সেটিকে অ্যাক্সিডেন্টাল ডেথ বলে উল্লেখ করেন । এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুসারে জানা গেছে, রাজ্যে প্রায় ১ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । আর সেই কথা মাথায় রেখেই আগামী শুক্রবার রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।