পঞ্চায়েত ভোটের আগে হামলা-পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত কোচবিহারের দিনহাটা। শনিবারের ঘটনার পর থমথমে এলাকা। গতকালের ঘটনার পর থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিক। আজও দুপুরে এক সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্ন তোলেন তিনি। মন্ত্রীর কথায়, “রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী কে?”
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর অভিযোগ, “যারা এই পরিস্থিতি তৈরি করলেন, যে পুলিশ অফিসারদের নেতৃত্বে এটা ঘটেছে তারা কীসের বিনিময়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে থেকে এটা করছে সেটা দেখবার বিষয়। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী। আমাদের অনেক সময় ভাবতে হচ্ছে রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীটা আসলে কে? পিসি কি রাজ্য চালাচ্ছেন না অন্য কেউ?” প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘তাঁর উপরে প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে এবং পুলিশ এখানে দলদাসে পরিণত হয়েছে। যেটা গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক’।
নিশীথের আরও অভিযোগ, ‘তৃণমূল ও পুলিশ একযোগে যেভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে তা ভাবা যায় না। ইমারজেন্সির মতো অবস্থা। বিজেপিকে ঘরে গৃহবন্দি করে রাখার চেষ্টা করছে পুলিশ।’
নিশীথকাণ্ডে অভিযোগ জানিয়ে এ বার অমিত শাহকে চিঠি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার সকালে ইমেল মারফত শাহের দফতরে চিঠিটি পাঠিয়েছেন তিনি। সেখানে শুভেন্দু রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির পক্ষে সওয়াল করেছেন। একই সুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ৩৫৬ ধারা জারির দাবি করতে বাধ্য হব।’ এদিকে এই ঘটনা ঘিরে রাজ্য ও রাজভবনের মধ্যে হালকা চাপানউতোর শুরু হয়েছে। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল। এনিয়ে একটি লিখিত বিবৃতি জারি করেছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর নালিশের ভিত্তিতে রবিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন। এ বিষয়ে লিখিত বিবৃতি জারি করে তাঁর বক্তব্য, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর রাজভবন। কিছু ঘটলে রাজভবন চুপ করে বসে থাকবে না।