ঘিঞ্জি গলি গুলোতে রোদের আলো কোনোদিনই ঢোকে না। টালির ছাদের স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে ওরা রোজ সেজেগুজে অপেক্ষা করে অন্তত একটা খদ্দেরের। কালীঘাট থেকে সোনাগাছি, প্রায় প্রতিটি রেড লাইট এরিয়ার চিত্র কমবেশি এক। কোভিড এসে থাবা বসিয়েছে যৌনকর্মীদের রোজগারে। প্রতিদিন সেজেগুজে রাস্তায় দাঁড়ালেও করোনার ভয়ে কোনো খদ্দেরই যৌনকর্মে লিপ্ত হতে রাজি নয়। যার জেরে প্রবল দারিদ্র্যতার মুখোমুখি হয়ে অবসাদে আত্মঘাতি হচ্ছেন যৌনকর্মীরা।২০২০ সালের মার্চ মাসে ভারতে করোনা প্রবেশের পর থেকেই প্রবল অনিশ্চিয়তার সঙ্গে দিন যাপন করছেন দেশের প্রায় ৯ লাখ যৌনকর্মী। এই অবস্থায় বেশির ভাগ যৌনকর্মীই বাধ্য হয়েছেন বিভিন্ন দালালদের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা ঋণ নিতে। এছাড়াও,সঠিক তথ্যের অভাবে যৌনকর্মীদের মধ্যে করোনা সচেতনতারও অভাব দেখা গিয়েছে। অনেক যৌনকর্মীই বিভিন্ন গুজবের কারণে এখনও ভ্যাকসিন নিতে নারাজ।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/09/k-1024x597.jpg)
কলকাতার যৌনকর্মী অধিকার সংগঠন “দূর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি” -র প্রেসিডেন্ট বিশাখা লস্কর জানান, এই করোনা পরিস্থিতিতে অনেক যৌনকর্মী বাধ্য হয়ে অনলাইন সার্ভিস দেওয়া শুরু করেছেন। কিন্তু তাদের স্মার্ট ফোন এবং অনলাইন পেমেন্টের অজ্ঞতার ফলে অধিকাংশ কাস্টমার তাদের পাওনা টাকা মেটাচ্ছেন না। যার ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছেন যৌনকর্মীরা। এছাড়াও তাদের পক্ষ থেকে যৌনকর্মীদের মধ্যে রেশন বিতরণ এবং করোনা নিয়ে সচেতনতার প্রচার করা হয়েছে এবিষয়েও তিনি জানিয়েছেন। শীঘ্রই যে যৌনকর্মীদের এই দুঃসময় কেটে যাবে সে বিষয়েও ভীষণ আশাবাদী বিশাখা।