![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/11/IMG-20211117-WA0005.jpg)
সিওপিডি– এক ভয়ঙ্কর অসুখের নাম। সিওপিডি কথার সম্পূর্ণ অর্থ হলো ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ। এটি আসলে ফুসফুসের একধরনের জটিল রোগ। এই রোগটির ফলে শ্বাসপ্রশ্বাসের ক্ষেত্রে তীব্র সমস্যা তৈরী হয়। সমীক্ষা বলছে, বর্তমানে আমাদের দেশে ৪০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের ২১ শতাংশ সিওপিডিতে ভুগছেন।
আজ ওয়ার্ল্ড সিওপিডি ডে। তাই আজকের দিনে এই জটিল ও জীবনব্যাপী সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চলুন, কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিই। কারণ, এই রোগ প্রতিরোধের জন্য ব্যাপক সচেতনতার প্রয়োজন।
উপসর্গ :
• অনেকসময় রোগীর কাশি হয় খুকখুক করে আবার কখনও কখনও কাশির সঙ্গে কফ বেরয়।
• শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সময় আওয়াজ হতে পারে।
• হাঁটাহাঁটি করলে সিওপিডি রোগীর শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয় ।
• রোগের অগ্রগতির সঙ্গে দেখা যায়, সামান্য হাঁটাহাঁটিতেই রোগীর শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরী হচ্ছে! এক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় অবহেলা করলে অসুখ দিনের পর দিন বাড়তে থাকে।
কারণ :
বায়ু দূষণযুক্ত এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাস করলে, বহুদিন ধরে সিগারেট-বিড়ি খেলে ধীরে ধীরে সিওপিডি শুরু হয়। এছাড়া অনেকদিন ধরে ঘুঁটে, কাঠ-কয়লার উনুনের ধোঁয়ার কাছাকাছি থাকলেও হতে পারে সিওপিডি ।
সিওপিডি চিকিৎসা:
উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে রোগের বৃদ্ধিকে কমিয়ে আনা সম্ভব। এছাড়াও, রোগীর জীবনযাত্রার ধরন পরিবর্তন করা হয়। কিছু কিছু রোগীকে বলা হয় রেসপিরেটরি এক্সারসাইজ অভ্যেসও করতে। সর্বোপরি, পুষ্টি, শরীরচর্চা, ফিজিওথেরাপি, ইনহেলার, অকুপেশনাল থেরাপির মাধ্যমে রোগীকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করা হয়।