অবশেষে চীনের প্রতি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন দালাইলামা। তিনি জানালেন, চীনে নয়, ভারতেই থাকতে চান তিনি। চীন সংস্কৃতির বৈচিত্রের গুরুত্ব কখনই বুঝতে পারেনা, যার কারণেই ভারতে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। চীনে বসবাসকারী মানুষদের প্রতি ইতিমধ্যেই শান্তির বার্তা দিতে গিয়ে দেখা গিয়েছে দালাইলামাকে। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন ,ভারতে থাকলেও চিনা ভাই-বোনদের প্রতি তাঁর কোনও বিদ্বেষ নেই, বরং একজন মানুষ হিসেবে তিনি সর্বদাই কমিউনিস্ট এবং মাক্সবাদী চিন্তাভাবনাকে আদর্শ বলেই মনে করেন। এছাড়াও নিজের মনুষ্যত্বের জায়গা থেকে এই ভাবধারাকে আজীবনকাল সমর্থন করে এসেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জাপানের টোকিও থেকে সম্প্রচারিত একটি অনলাইন সাংবাদিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছিলেন ৮৬ বছরের এই তিব্বতীয় ধর্মগুরু দালাই লামা। তিব্বতীয় এঈ ধর্মগুরুকে এক বিপদজনক বিভেদকারী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে চীনের রাজধানী বেজিংয়ের তরফে। আর তারপরই ১৯৫০ সালে তিব্বত অধিগ্রহণ করে চীন। যার ফলে, ১৯৫৯ সালে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই ভারতে পালিয়ে আসেন দালাইলামা। আর তারপর থেকেই এখনও পর্যন্ত ভারতে রয়েছেন তিনি। ওদিকে আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেই চীনের কমিউনিস্ট নেতাদের বিষয়ে তীব্র সমালোচনা করতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি বলেন, চীনের সাধারণ মানুষের জনজীবনে এই নেতাদের বিপুল নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। যা চীনের সাধারণ মানুষের কাছে খুবই কষ্টকর বিষয়। তবে চীনের সাধারন মানুষদের প্রতি ভালোবাসা জানালেও অবশেষে ভারতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।