করোনা অবহেও ভোট চলছে বঙ্গে, ছ’দফার ভোট সম্পন্ন হয়েছে|প্রতি দফাতেই রাজ্যের কোথাও না কোথাও অশান্তি, রক্তপাত হয়েছে। এখনও দু’দফার ভোট বাকি, ফের সপ্তম দফা ভোটের আগে উত্তপ্ত কলকাতার মানিকতলা অঞ্চল। শনিবার ওই এলাকার উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়, রাতে দুই মহিলা তৃণমূল কর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে। এরপর তৃণমূল সমর্থকরা বিজেপির কর্মীদের ওপর চড়াও হয়। ওই তৃণমূলের দুই মহিলার অভিযোগ, তাঁরা মুরারিপুকুর বাজারে ফল কিনতে গেলে শ্লীলতাহানি করেন ফল ব্যবসায়ী ও তাঁর আত্মীয়। তৃণমূলের দাবি অভিযুক্তরা নাকি বিজেপি সমর্থক। যদিও বিজেপির তরফ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তৃণমূল কর্মীরা ওই ঘটনা নিয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে সেখানে তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে গন্ডগোল বাঁধে। এরপর উত্তেজিত বিজেপি সমর্থকরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। এই ঘটনায় রাতেই কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর শনিবার মানিকতলার ১৪নম্বর ওয়ার্ডে মুরারীপুকুরে বিজেপির নির্বাচনী সভার পাশেই তৃণমূলের সভা হচ্ছিল। মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী কল্যান চৌবের অভিযোগ, “কোভিড বিধি মেনে ২০০টি চেয়ার রেখে আমাদের সভা হচ্ছিল। পৌঁছে দেখি সেখানে আমাদের ঝান্ডা সরিয়ে তৃণমূল তাদের ঝান্ডা লাগিয়ে দিয়েছে। আমাদের সভাস্থলে ওদের মাইকও লাগিয়ে দেয়। পুলিশকে বলি তৃণমূলের মাইকটা বন্ধ রাখার জন্য।” এদিকে কুনাল ঘোষের বক্তব্য, “আমাদের চার হাজার লোক ছিল। আর ওদের লোক ছিল ৩৫জ ন। আমাদের ছেলেরা সংযত ছিল। কোনও গণ্ডগোল করেনি।” বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের লাগানো মাইক খুলে নিতে হবে পুলিশের কাছে দাবি করে। কিছু কর্মী সমর্থক আবার তৃণমূলের সভাস্থলের দিকে যেতে গেলে পুলিশ আটকায়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপির বচসা বাঁধে|এভাবেই মানিকতলায় ধুন্ধুমার কান্ড শুরু হয় সপ্তম দফার ভোটের আগে।