সামনেই বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। কিন্তু সামনেই কড়া নাড়ছে তৃতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে পুজো কিভাবে সম্ভব সেই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আজ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই বিষয়ে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে একটি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগের বছরের মতো কোভিড প্রোটোকল মেনেই পুজো করতে হবে প্রতিটি ক্লাবকে। মণ্ডপে মাস্ক, স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক। কার্নিভাল বিষয়ে তিনি জানান,”১৫ থেকে ১৮ অক্টোরব পর্যন্ত বিসর্জন হবে। পুজো কার্নিভাল করা সম্ভব হবে কিনা, তা পরে জানানো হবে।
রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি করোনা পরিস্থিতিতে পুজোর উদ্যোক্তাদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদানের কথা ঘোষণা করেন। এছাড়াও বিদ্যুৎ বিলের ক্ষেত্রেও ৫০% মকুব করার কথাও ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,কলকাতায় এই পুজো বৈঠকে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বৈঠক শেষে তিনি বলেন,”সারা রাজ্যে ৩৬ হাজার ক্লাবে পুজো হয়। কলকাতায় ২৫০০ হাজার ক্লাব রয়েছে। গতবারের সব সিদ্ধান্তই বলবৎ থাকবে। কোভিড সচেতনতা প্রচার করুন।” সরকারের পক্ষ থেকে সম্পূর্ন সহযোগিতার কথা বলেন তিনি।এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোকে ঐতিহ্যশালী আন্তর্জাতিক উৎসবের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য UNESCO-র কাছে আবেদন করেছেন তিনি।