বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ‘পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কে’র বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে চলেছে ‘ইডি’। তবে ‘পেটিএমে’র পক্ষ থেকে এই তদন্তের বিষয় কিছু জানানো হয়নি।
গত সপ্তাহেই নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে ‘পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কে’র লেনদেনের উপরে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে ‘রিজার্ভ ব্যাঙ্ক’। গ্রাহকদের কাছ থেকেও টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ‘আরবিআই’ স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, ‘পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কে’র বহু অ্যাকাউন্টের গ্রাহকদের কেওয়াইসি নেই। ফলে ওই অ্যাকাউন্টের আসল মালিক কারা তা নিয়ে সংশয় থাকছে। কেওয়াইসি না থাকার জন্য ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে পাচারের সুযোগ রয়েছে। এমন এক হাজার অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে যেখানে একই প্যান নম্বর সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে ‘রিজার্ভ ব্যাঙ্কে’র কড়া নির্দেশিকার পর এবার ‘ইডি’র তৎপরতায় ফের বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ল বিজয় শেখর শর্মার ‘পেটিএম’।
তবে ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে দেখা করেছেন ‘পেটিএম’ কর্তা বিজয়, কিন্তু কোনও কাজের কাজ হয়নি। পাশাপাশি, ‘আরবিআই’ গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়ে দিয়েছেন, ‘পেটিএম’ গ্রাহকদের স্বার্থরক্ষাই তাদের অগ্রাধিকার। গত ৯ ফেব্রুয়ারি ভুল-ভ্রান্তি শোধরাতে ‘পেটিএম’ একটি পরামর্শদাতা কমিটি গঠন করেছে। প্রাক্তন ‘সেবি’ কর্তা এম দামোদরন এই কমিটির শীর্ষপদে থাকবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে মোদি সরকারের নির্দেশে নোটবন্দির পরেই ডিজিটাল লেনদেনের উপর আগ্রহ বাড়তে থাকে মানুষের। ফলে ‘পেটিএমে’র রমরমা বাজার শুরু হয়।