বকেয়া ডিএ-র দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে সামিল রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। দিয়ে প্রসঙ্গে ফের বিধানসভায় মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের চেয়ে আমরা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বেশি দিই আমরা। বেতন কাঠামোতেও ফারাক আছে। ৯৯ শতাংশ ও ৬ শতাংশ মিলিয়ে রাজ্যে ১০৫ শতাংশ ডিএ দেওয়া হচ্ছে। আর কত চাই? কত হলে সন্তুষ্ট হবেন? এর থেকে বেশি দেওয়া সম্ভব নয়। আমার মুণ্ডু কেটে নিলেও এর থেকে বেশি ডিএ দিতে পারব না। আমায় পছন্দ না হলে মুণ্ডু কেটে দিন। কিন্তু এর থেকে বেশি দিতে পারব না।’
বিয়ের পাশাপাশি সাগরদিঘী উপনির্বাচনে তৃণমূলের হার প্রসঙ্গেও বেশ ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে সেই বিপর্যয়ের পর শাসকদলের অন্দরে সংখ্যালঘু ভোট ধরে রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সোমবার বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠক বসে। এদিন পাঁচ নেতাকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠান মমতা। তাঁরা সকলেই সংখ্যালঘু। গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান, সংখ্যালঘু প্রতিমন্ত্রী গোলাম রাব্বানী ও জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন তাঁর ঘরে যান। সূত্রের খবর, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই কমিটিকে সাগরদিঘি ভোটের বিপর্যয় নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন। এই কমিটিকে প্রয়োজনে সাহায্য করার জন্য রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা।