রোহিত শর্মার নেতৃত্বেও নক আউটের অভিশাপ কাটল না ভারতের। আইসিসি টুর্নামেন্ট মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ই শেষ জয় ভারতের। তারপর থেকেই আইসিসি টুর্নামেন্টে সেমিফাইনাল বা ফাইনালে হেরে আসছে ভারত। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত খেললেও সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড-এর কাছে হারতে হলো ভারতকে। ফলে নক আউটের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেল না ভারত। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডের পিচে ভারতকেই এগিয়ে রেখেছিলেন বিশেষজ্ঞরা।অন্যদিকে ভারত টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বেশি রানের টার্গেট দিতেই পারল না ইংল্যান্ডকে।
ভারত প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরে্ন রাহুল। শেষে কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়ার কাঁধে নির্ভর করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৮ রানের টার্গেট দেয় ইংল্যান্ডকে। পান্ডিয়া ৩৩ বলে ৬৩ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে এই রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটিই জিতিয়ে দিলো ইংল্যান্ডকে। ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস সহজেই ম্যাচ ছিনিয়ে নেন ভারতের কাছ থেকে। চার ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় ইংল্যান্ড। বাটলার ৮০ রানে এবং হেলস ৮৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ফের ১৯৯২ সালের পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সেবারও মেলবোর্নে ফাইনাল খেলেছিল ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান কিন্তু সেবার ইমরান খানের নেতৃত্বে ফাইনাল জিতেছিল পাকিস্তান।