কর্মসূচি মতই রবিবার হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে জনসভা করল বিজেপি। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বদলে সভায় উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। শাহ আসতে পারবেন না জেনেই তাঁর পাঠানো বিশেষ বিমানে করে দিল্লি উড়ে যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, রথীন চক্রবর্তী, প্রবীর ঘোষাল সহ রুদ্রনীল ঘোষরা। রবিবারের জনসভায় সশরীরে উপস্থিত হন প্রত্যেকেই। এছাড়াও জেলার একাঝাঁক জেলাস্তর থেকে ব্লকস্তরের তৃণমূল নেতারা বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন। যাঁদের মধ্যে অন্যতম বিজেপিতে যোগদান করেন সদর হাওড়ার যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুপম ঘোষ, তৃণমূল নেতা বানী সিংহ রায়।
সশরীরে সভায় আসতে না পারলেও এদিন ভার্চুয়ালে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, বাংলায় বামফ্রন্ট সরকারের থেকেও এরা অত্যন্ত খারাপ। কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্পে সমস্ত নথি এই সরকার ঠিকঠাক দেয়নি। কী করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা আসবে? সময় এসেছে পিসি ভাইপোর সরকারকে বিদায় দেওয়ার। এদিনের সভামঞ্চ থেকে রাম রাজত্ব গড়ার ডাক দেন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
হাওড়া,হুগলি ও পূর্ব মেদিনীপুরের পাশাপাশি এবার কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনা জেলা সাফ করার হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এদিকে, সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়ে হুমকি ও ভয় দেখিয়ে ভোট বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়,লকেট চট্টোপাধ্যায়,শমীক ভট্টাচার্য জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহা সহ অন্যান্যরা।
বিজেপির যোগদান মেলাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস, চারচাকা ও বাইকে করে বিজেপি কর্মী ও মণ্ডল নেতৃত্বরা আসতে থাকে সভাস্থলের উদ্দেশে। ১৬ নং জাতীয় সড়কের পাশাপাশি জিটি রোড,হাওড়া-আমতা রোড,কোনা এক্সপ্রেসওয়ে যান চলাচল সামলাতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় হাওড়া সিটি পুলিশকে। তীব্র যানজটে আটকে নাভিঃশ্বাস ওঠে নিত্যযাত্রী থেকে হাওড়াবাসীর।