মমতার কথাতেও কাজ হল না। আসানসোল পুর প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারী। বিক্ষুব্ধ জিতেন্দ্র আগেই জানিয়েছিলেন দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দলনেত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান। তবে উত্তরবঙ্গ সফরে থাকায় মমতা ফোন করে জিতেন্দ্রকে মাথা ঠাণ্ডা রাখার পরামর্শ দেন। সেইসঙ্গে ১৮ তারিখ আলোচনায় বসার কথা জানান। তবুও মন গলল না পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়কের। বুধবার শুভেন্দু অধিকারী বিধায়ক পদ ছাড়ার পরই পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ তথা শুভেন্দু অনুগামী সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে বৈঠকে বসেন দলের একাধিক বিদ্রোহী
নেতারা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দুও। তার ঠিক কয়েকঘণ্টা পরেই সমস্ত পদ-সহ তৃণমূল ছেড়ে দিলেন তিনি। মমতার সঙ্গে আলোচনায় বসার সময়টুকুও দিলেন না অভিমানী
জিতেন্দ্র।
এদিন দুপুরে পুরনিগমে পুরকর্মী-অফিসারদের সঙ্গে কথা বলার পর প্রথম ঘোষণা করেন ইস্তফা দেওয়ার বিষয়টি। এরপরই শুভেন্দুর পদাঙ্ক জিতেন্দ্র অনুসরণ করছেন বলেই জল্পনা তৈরি হয়। যদিও জিতেন্দ্রর দাবি ‘আমি তৃণমূল করি। এটা অনেকে চান না। তাই ছেড়ে দিলাম। তবে তিনি যে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী তা ঠারে ঠারে বুঝিয়ে দেন জিতেন্দ্র। তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরের বড় নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের উচিৎ, শুভেন্দুকে দলে ধরে রাখা।’
তবে, এদিন দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পরই জিতেন্দ্র তিওয়ারীর পাণ্ডবেশ্বরের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। এদিন জিতেন্দ্রর ইস্তফার পর তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘বিশ্বাসঘাতকতা যারা করার, করবেই। কিন্তু মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে আছে। তাঁকেই তাঁরা ফের জিতিয়ে আনবেন।’ তবে, এ বিষয়ে কটাক্ষ করেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর কথায়, ‘আত্মসম্মান নিয়ে কেউ তৃণমূল করতে পারবে না। পুরো দলটাই ভেঙে যাবে।’