করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের যে নাজেহাল গোটা বিশ্ব আর এই সংক্রমণের জন্য দায়ী করা হলো নির্বাচন কমিশনকে। এর আগেও নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে সমস্ত ডাক্তারেরা বলেছিলেন রাজনৈতিক সমাবেশ থেকে দূরে থাকার জন্য। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের এই ব্যাপারে কোন গা না লাগানোর জন্য আজ এত বড় ঢেউয়ের মুখে পড়তে হলো ভারতবর্ষকে। এ বার তা নিয়ে কমিশনকে কার্যত তুলোধনা করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। কোভিডে এত মানুষের মৃত্যুর জন্য কার্যত কমিশনকেই দায়ী করল আদালত।

করোনা সংক্রমনের এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনকে বলেন, “আপনাদের প্রতিষ্ঠানই এককভাবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউর জন্য দায়ী।” আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ‘সম্ভবত খুনের মামলা’ হওয়া উচিত বলেও জানান তিনি। নির্বাচন কমিশনকে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “যখন নির্বাচনী সমাবেশ হচ্ছিল, তখন কি আপনারা অন্য গ্রহে ছিলেন?” শুধু তাই নয় ভোটগ্রহণ নিয়ে যে গাফিলতি তাঁরা দেখিয়েছে , তা নিয়ে আগাম সর্তকতা অবলম্বন করে ভোট গণনার পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগামী দোসরা মে যদি কোভিড বিধি মেনে ভোট গণনা করা হয় সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভোট গণনার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।
যদিও এই প্রথম নয় এর আগেও কোভিদ বিধি না মেনে চলার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের ভৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল নির্বাচন কমিশনকে। তবে তাতেও কাজ না হওয়ায় এবার মাদ্রাস হাই কোর্টের তরফ থেকে কড়া ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। আগামী দিনে ভোট গ্রহণ এবং শেষ দিনে ভোট গণনা নিয়ে যদি আকাঙ্ক্ষী হয়ে থাকেন ,তাহলে অবশ্যই কোভিদ বিধি মেনে চলুন। তবে এক্ষেত্রে কেবলমাত্র নির্বাচন কমিশনের গাফিলতিই কি কারন? এতদিন বাদে মাদ্রাজ হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্ত কি আদৌ কোন বিশেষ পার্থক্য আনতে পারবে সংক্রমণ দিক থেকে? আর যদি তা সক্ষম হয়ও তাহলে কেন মাদ্রাস হাই কোর্টের তরফ থেকে আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল না? এখানে কি দেশের আইন ব্যবস্থা কোন ফাঁক থেকে যাচ্ছে না? প্রশ্ন থাকছে আমাদের।