করোনা টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পরই একেবারে রাতারাতি ‘ম্যাগনেট ম্যান’ হয়ে উঠেছিলেন নাসিকের এক প্রৌঢ়। সেই খবর সামনে আসা মাত্রই দাবানলের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে তা। স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট হতে থাকে একের পর এক ভিডিও। একটি ভিডিওতে ওই ব্যাক্তিকে দাবী করতে দেখা যায় যে করোনা টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পরই চুম্বকে পরিণত হয়েছে তাঁর গোটা দেহ। ফলে চামচ,হাতা,খুন্তি আটকে যাচ্ছে সবই। মুহুর্তে ভাইরাল হয় এই ভিডিও। অগণিত মানুষ দিব্যি ওই প্রৌঢ়কে অতিমানব বলে মেনেও নেন। প্রশ্ন উঠতে থাকে করোনা টিকার বিশ্বাসযোগ্যতা এবং নিরাপত্তা নিয়েও। এই ঘটনা দেখার পর টিকা নেবেন না, এমনটা সাফ জানিয়ে দেন অনেকেই। কিন্তু সম্প্রতি সামনে এল আরও একটি ভিডিও। ওই প্রৌঢ়ের দাবীকে মিথ্যা বলে চ্যালেঞ্জ করেই বানানো হয় এই ভিডিওটি।

নতুন এই ভিডিওটিতে দেখা যায়, একটি বালকের গায়ে আটকে রয়েছে খুন্তি,চামচ সহ একাধিক ধাতব জিনিস। পাশে বসেই তার বাবা দাবি করেন যে কখনও টিকা নেয়ইনি তাঁর ছেলে। অথচ তার গায়েও দিব্যি আটকে যাচ্ছে ধাতব জিনিস। টিকা নয় বরং পুরো ব্যাপারটাই যে ভাঁওতা এবং বুজরুকি একথাই বারবার বলতে শোনা যায় তাঁকে। কিন্তু পুরো ব্যাপারটিতে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? বিশেষজ্ঞরা অবশ্য এক্ষেত্রে একমত হয়েছেন দ্বিতীয় ভিডিওর শিশুর বাবার বক্তব্যের সঙ্গেই। তাঁদের মতে গরমে গায়ে ঘাম লেগে থাকে। সেই ঘামের ফলে ত্বকের এবং ধাতব বস্তুর মসৃণ তলের মধ্যে বায়ু আর থাকতে পারেনা। সেই কারণেই ‘এয়ারটাইট লক’ সৃষ্টি হয়ে ত্বকে আটকে যায় ধাতব জিনিস।। এটি যেকারও শরীরে হওয়া সম্ভব বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে, করোনা টিকা নিয়ে এহেন বিভ্রান্তি ছড়ানোর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে করোনা যুদ্ধে জেতার একমাত্র অস্ত্র করোনা টিকা। সেই টিকা নিয়ে এহেন বুজরুকি চললে যে আখেরে মানুষের ভয়াবহ ক্ষতি হবে, এমনটাই দাবী করেছেন বিশেষজ্ঞ মহল।