পঞ্চায়েত ভোটে গোটা বাংলা জুড়েই তৃণমূলের জয়জয়কার তাঁর দলের। আর এই আবহেই বুধবার নবান্নে পা রাখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২৭ জুন উত্তরবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী। তারপর থেকে বাড়িতেই চিকিৎসা চলেছে তৃণমূলনেত্রীর। চোট পাওয়ার ১৫ দিন পর এদিন নবান্নে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন থেকে মমতা বলেন, এখানে অনেকে কাজ করেন। কো-অর্ডিনেশন কমিটির অনেক সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। তাঁরা অনেক জায়গায় ব্যালট পেপারে সই করেননি। ফলে আমাদের অনেক ব্যালট বাতিল হয়েছে। দোষটা কার? তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না কেন? অন্তর্ঘাত করেছেন ভোটের কাজে নিযুক্ত সরকারি কর্মীদের একাংশ, তেমনই দাবি করেছে জোড়াফুল শিবির। বহু বুথে যে হারে তৃণমূলের পক্ষে যাওয়া ব্যালট বাতিল হয়েছে, তাতেই এই প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2023/07/WhatsApp-Image-2023-07-12-at-19.54.59.jpeg)
এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘ভাঙড়, ডোমকলে আমাদের কর্মীর মৃত্যু হয়েছে, আমরা তো জিতিনি। ৭১ হাজার বুথে ভোট হয়েছে, বড়জোর ৭টা বুথে বিক্ষিপ্ত গন্ডগোল ঘটানো হয়েছে। যে ভোট নষ্ট করেছে, পুকুরে ব্যালট বাক্স ফেলছে, কেন গ্রেফতার হবে না? আমরা দুঃখিত। বাইরে থেকে লোক এনে হামলা করা হয়েছে। বাংলার বদলাম করারা চেষ্টা চলছে। আর ফ্যক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠায়েছে। কত আর টিম পাঠাবে?’
সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বলেন, যতদিন বিরোধী দলে ছিলাম মার খেয়েছি, বিজেপি ক্ষমতায় এসে বিদ্বেষমূলক মনোভাব নিয়েছে। সাধারণ ঘরের মেয়ে বলেই আমার ওপর রাগ? প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠিয়েছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে ত্রিপুরা ও অসমের প্রসঙ্গ তুলে আনেন মমতা। মণিপুরে তৃণমূলের দল পাঠানোর কথাও বলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পঞ্চায়েত ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে। আমার যদি সত্যিই কোনও অপরাধ থাকে, যে শাস্তি মানুষ আমাকে দেবে, মাথা পেতে নেব।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2023/07/WhatsApp-Image-2023-07-12-at-19.54.58.jpeg)
পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তির ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। এছাড়াও পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে। আজ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েকটি জায়গায় অশান্তি হয়েছে। তাতে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। দল নির্বিশেষে এই আর্থিক সাহায্য ও চাকরি দেওয়া হবে। কোনও দল দেখা হবে না। মৃতদের মধ্যে আমাদেরই ১২ জন। বাকিরা অন্য দলের। সাহায্য ও চাকরির ক্ষেত্রে কোনও দল ভেদাভেদ হবে না।’