তালিবানদের দখলে যাওয়ার পর থেকেই রক্তাক্ত,অশান্ত আফগানিস্তান। মঙ্গলবার জঙ্গি হামলার জেরে ফের রক্তাক্ত আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। প্রথমে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ, তার পরে জঙ্গিতে এলোপাথাড়ি গুলিতে রক্তের ছাপ পড়ল কাবুলের এক হাসপাতালে। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার দুপুরে কাবুলের এক সেনা হাসপাতালে আচমকা এক জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৫ জনের, আহত বহু। হতাহতদের মধ্যে রয়েছেন তালিবান কমান্ডার হামদুল্লাহ মখলিস। মখলিস তালিবানের হাক্কানি নেটওয়ার্কের সদস্য ছিলেন। এই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার দায় নিয়েছে আইএস-কে (খোরাসন) জঙ্গি গোষ্ঠী।
গত ১৫ অগস্ট তালিবানরা আফগানিস্তান দখল নেওয়ার পর থেকেই একাধিক বার দেশের নানা শহরে হামলা চালিয়েছে এই জঙ্গিরা। কখনও শিয়া মসজিদে প্রার্থনা চলাকালীন আত্মঘাতী বিস্ফোরণ, কখনও বা আফগানভূমির নিরীহ এক রাস্তার ধারে রাখা বোমা ফেটে নিহত ও আহত হয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ। এই হামলায় নিহতদের মধ্যে সাধারণ আফগান নাগরিকদের সঙ্গে রয়েছেন তালিবান যোদ্ধারাও।
তালিবানের মুখপাত্র হামলার কিছু সময় পরে এক বিবৃতি জারি করে জানান, হামলাকারীদের সকলকেই হত্যা করেছে তালিবানরা। হাসপাতালের মূল প্রবেশপথে প্রথম আত্মঘাতি বিস্ফোরণের পরেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান তালিবান যোদ্ধারা। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার দুপুর একটা নাগাদ প্রথমে ওই সেনা হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে নিজেকে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয় এক আত্মঘাতী আইএস জঙ্গি। এই ঘটনায় হাসপাতালে হুড়োহুড়ি পড়ে গেলে সেই সুযোগে কয়েক জন বন্দুকবাজ জঙ্গি হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে পড়ে। এক বিদেশি সাংবাদিকের কথায়, প্রথম বিস্ফোরণের ঠিক আধ ঘণ্টা পরে হাসপাতালের বাইরে রাখা একটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। যার জেরে কার্যত ধোঁয়ায় ঢেকে যায় কাবুলের আকাশ। এই ঘটনার জন্যে অতিস্পর্শকাতর ‘গ্রিন জ়োন’-এ সাময়িক ভাবে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।