আজ হিঙ্গলগঞ্জের সভা থেকে সুন্দরবনকে নতুন জেলা হিসেবে ঘোষণা করলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে নদীয়া সফরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৩টি ব্লক নিয়ে সুন্দরবন জেলা এবং উত্তর ২৪ পরগনার ৬ টি ব্লক নিয়ে বসিরহাট জেলা হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। এবার তা হিঙ্গোলগঞ্জে সাফ ঘোষিত হল। প্রতিটি জেলার জন্য খরচ হবে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে সুন্দরবন্দর উন্নয়নের জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
সুন্দরবন আলাদা জেলা হওয়ার ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমার পাশাপাশি প্রশাসনিক কাজকর্মেও অনেকটা সুবিধা হবে। এদিন সেখানকার মানুষজনদের শীতবস্ত্রও প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে সরকারি কর্মীরা এইসব বস্ত্র আনতে দেরি করায় রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি বলেন, ‘এখানে আমিও বসে রইলাম। আপনারাও বসে থাকুন। যদি বিডিও, আইসি, ডিএমরা ঠিকমতো কাজ না করেন তাহলে আমি অ্যাকশন নেব।’ এরপরই তড়িঘড়ি করে বস্ত্র বিতরণের আয়োজন শুরু হয় বিডিও অফিস থেকে। পাশাপাশি বনবিবির পুজো দেওয়ার পর জেলাশাসককে ও ডিএমকে বনদেবী মন্দির পাকা করতে এবং মন্দিরে আসার জন্য বাসের সংখ্যা বাড়াতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শীতের শুরুতেই রাজ্য পরিবহন দপ্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গের ৬ টি জেলায় বায়োটয়লেট যুক্ত বৈদ্যুতিন ভেসেল পরিষেবা শুরু হয়েছে। এদিনের জনসভা থেকে এইসব ভেসেলের জন্যই ৯ টি জেটির উদ্বোধন করেন তিনি। জেটিগুলি হল হুগলির বাঁশবেড়িয়া ও গৌরহাটি জেটি, উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি, দেবীতলা, নবাবগঞ্জ, রাসমণি ফেরিঘাট, কলকাতার রতনবাবু ঘাট এবং আউটরাম ঘাট, হাওড়ার গদিয়ারা ঘাট। প্রতিটি ভেসেলের জন্য খরচ পড়বে ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন