নেতাজির জন্মদিন কে কেন্দ্র করে বঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্যদিকে পদযাত্রায় বেরোচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও । সে ক্ষেত্রে রাজ্যের রাজধানী মহানগরীকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়ার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে প্রশাসনের তরফ থেকে। পূর্বের ঘোষণা মত এই দিন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের একটি গ্যালারি ওপেন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । সেই গ্যালারিতে থাকবে কেবল মাত্র নেতাজির ছবি পাশাপাশি অপর একটি গ্যালারি অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ছবিতেই ভরা থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পদযাত্রা করবেন শ্যামবাজার থেকে রেডরোড পর্যন্ত । ইতিমধ্যেই শহরে এসে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সিকিউরিটি টিম।

পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ঘোষণার মাধ্যমে জানিয়েছেন যে নেতাজি জন্মজয়ন্তী কে পরাক্রম দিবস ঘোষণাতে খুশি নন তিনি ,এমনকি খুশি নন নেতাজির পরিবার স্বয়ং। কিছুদিন আগে পুরুলিয়া সভা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান নেতাজি দেশের স্বাধীনতা এনেছেন তাই সকলের স্বাধীনতা আছে তাঁর জন্মদিন পালন করার কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর সহকর্মীরা প্রত্যেকেই তেইশে জানুয়ারি বেলা বারোটায় শ্যামবাজার নেতাজি মূর্তি সামনে জমায়েত করবেন এবং সেখান থেকেই পদযাত্রা সূচনা হবে বলে জানানো হয়েছে।
তবে প্রধানমন্ত্রীর পশ্চিমবঙ্গ সফরকে কেন্দ্র করে মোতায়েন করা হচ্ছে দুই হাজারেরও বেশি পুলিশ । নজরদারির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে ড্রোন ।পাশাপাশি উপস্থিত থাকবে কুইক ফোর্স টিম। গত কয়েক মাসের মধ্যে বারংবার কেন্দ্রীয় শাসকদলের শীর্ষ নেতাদের আগমন ঘটেছে বঙ্গে। সেক্ষেত্রে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে বঙ্গ দখলের জায়গাকে স্বচ্ছতার সাথে পেতেই এই সকল কর্মসূচি। তাই বাঙালির আবেগ নেতাজীকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন তারা। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো তাদের এই কর্মসূচি আদৌ কতটা বাঙালির মনে জায়গা করে নিতে পারবে সে বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।