বিশ্বভারতী মামলায় অন্তবর্তীকালীন নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। ইতিমধ্যেই উপাচার্যের বাড়ির সামনের অবস্থান বিক্ষোভ সরানোর নির্দেশ দিল আদালত। এছাড়াও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ মিটার এলাকার মধ্যে কোনো রকম কোনো বিক্ষোভ দেখানো যাবে না বলেই জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি শান্তিনিকেতন থানার পুলিশকে ইতিমধ্যেই এই এলাকায় দ্রুত হস্তক্ষেপের জন্য নির্দেশ দেয় আদালত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অপ্রয়োজনীয় তালা লাগানো অংশগুলি তালা ভাঙার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে। ওদিকে উপাচার্যের নিরাপত্তার খাতিরে ইতিমধ্যেই তিনজন কনস্টেবল রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত অর্থনীতি বিভাগের তিন ছাত্র ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনের তালা ভাঙ্গার কারণে তিন বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয় ঐ ৩ ছাত্রছাত্রীকে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ছাত্র ছাত্রীরা। এমনকি দীর্ঘ কয়েক দিন ধরে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে। তবে আজ সেই মামলার অন্তর্বর্তীকালীন রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/09/Visva-Bharati-University-1024x654.jpg)
ছাত্রদের জন্য জারি করা বিশেষ কয়েকটি নির্দেশিকা হল:
১) বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ মিটারের মধ্যে কোন বিক্ষোভ দেখানো যাবে না।
২) বিশ্বভারতী প্রাঙ্গণে কোনো রকম কোনো মাইক ব্যবহার করা যাবে না।
৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত বা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কোন কর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ থেকে বিরত রাখা যাবে না।
৪) বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা চালানো হবে।
৫) বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নকে সচেতন করে বলা হয়েছে,”কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নেবেন না। এটা কোনও ট্রেড ইউনিয়ন নয়, ছাত্র ইউনিয়ন। এটা কেউ ভুলে যাবেন না।”