![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/04/WhatsApp-Image-2021-04-12-at-13.20.08.jpeg)
সুপ্ততার জাল ভেঙ্গে জাগ্রত হল লা সুফ্রিয়ার আগ্নেয়গিরি। ৪২ বছর পরে হঠাৎ যেন জেগে উঠল এক ঘুমন্ত দৈত্য। পূর্ব ক্যারিবিয়ান দ্বীপে হঠাৎ করেই যেন ঘুম ভাঙল এক আগ্নেয়গিরির, গত ৪২ বছর ধরে নিশ্চুপ ছিল এই আগ্নেয়গিরি তবে হঠাৎ জেগে উঠেই যেন গোটা দ্বীপ জুড়ে প্রলয় শুরু করেছে লা সুফ্রিয়ার আগ্নেয়গিরি। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুত্পাত এতটাই প্রবল যে বাতাসে ৬ কিমি অবধি উঁচুতে কালো ছাইয়ে ঢেকে যায়। যদিও একেবারেই আচমকা হয়নি এই উদগীরণ। সূত্রের খবর অনুসারে জানতে পারা গেছে, আগ্নেয়গিরির এই অস্বাভাবিক অগ্ন্যুপাতের ফলে উড়ন্ত গরম ছাই বাড়ি ঘর ও ফসলের ওপরে পরে ফলে ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রচুর প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রায় ১৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে পাঠানো হয়েছে।
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে উড়ন্ত ছাই পড়ে বেশ কয়েক একর জুড়ে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তথ্য বলছে এর আগে ১৯৭৯ সালে বছরের প্রথম দিকে লা সুফ্রিয়ার আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাত করেছিল। লা সুফ্রিয়ার আগ্নেয়গিরি থেকে ঠিক ২০ কিমি দূরে অবস্থিত আর্গিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সেখানেও ছাইয়ের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া গেছে ইতিমধ্যেই ।অর্থাৎ এই উড়ন্ত ছাই প্রায় কুড়ি কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়াতে সক্ষম হয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে এই আগ্নেয়গিরির এই সচলতা বা অস্থিরতা একদিনে দেখা যায়নি। গত বছর ডিসেম্বর থেকেই মাটিতে কম্পন অনুভূত হচ্ছিল, বাষ্প উঠতেও দেখা যাচ্ছিল, এবং ৮ এপ্রিল কিছুটা লাভা দেখা যাচ্ছিল।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/04/WhatsApp-Image-2021-04-12-at-13.20.06-1024x640.jpeg)
গত ৯ এপ্রিল সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে সরকারি তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল যেখানে বলা হয়েছিল, যে কোনও দিন বিস্ফোরণ হতে পারে, এরপরেই ১০ এপ্রিল বিস্ফোরণ হয়। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকার্যে নেমেছে উদ্ধার বাহিনী । জানা যাচ্ছে, গোটা দেশের প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ এই এলাকায় বাস করে। কিন্তু বিপুল পরিমাণে ছাই রাস্তাঘাটে, ট্রেন লাইনে পড়ে থাকার দরুণ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে উদ্ধারকার্য বাহিনীকে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনো মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি বলেই জানা যাচ্ছে। এদিকে সেখানকার একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই একটি আগ্নেয়গিরির এরকম সক্রিয়ভাবে লাভা উদগিরনের পর থেকেই অন্যান্য পার্শ্ববর্তী সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলির লাভা উদগিরনের সম্ভাবনা বিপুলভাবে বেড়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা ঘটে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশে ।