শিলিগুড়িতে বিজেপির যুব মোর্চার উত্তরকন্যা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার। সোমবার শিলিগুড়ির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল এগোতে শুরু করে উত্তরকন্যার দিকে। তবে মিছিল যাতে পৌঁছতে না পারে সেজন্য প্রথম থেকেই তৎপর ছিল পুলিশ। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় কর্মীরা। তখনই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায় তাদের। অভিযোগ, বিজেপি কর্মীদের হঠাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পুলিশের লাঠির আঘাতে মৃত্যু হয় এক যুব মোর্চার এক কর্মীর। বিজেপির এরাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র তরফে মৃতের ছবি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবাদে আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার 12 ঘণ্টার উত্তরবঙ্গ বনধ ডেকেছে বিজেপি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে আগামিকাল কৃষক সংগঠনগুলির ভারত বনধের ডাক দিয়েছে। যে বনধে সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2020/12/WhatsApp-Image-2020-12-07-at-20.45.32.jpeg)
এদিন বিজেপি কর্মীদের হঠাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ছোড়ে। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করে তারা। সব মিলিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ-বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। আহত হন বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক। যাদের মধ্যে মহিলাও রয়েছে। বেশ কয়েকঘণ্টা এই পরিস্থিতি চলার পর কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2020/12/WhatsApp-Image-2020-12-07-at-20.45.33.jpeg)
ঘটনার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, নন্দীগ্রামের কায়দায় হামলা চালিয়েছে পুলিশ। পুলিশের লাঠির আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে যুব মোর্চার শাখা সংগঠনের কর্মীর। তিনি আরও বলেন, ছাদ থেকে লুকিয়ে দুষ্কৃতীরা হামলা করে। পুলিশের ভিড়ের মধ্যেই দুষ্কৃতীরা লুকিয়ে ছিল বলেই দাবি তাঁর। পাশাপাশি পুলিশ পাখি মারার বন্দুক থেকে গুলি চালানো হয়ে থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেন দিলীপ। এই ঘটনার পরই কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির এরাজ্যের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, শিলিগুড়িতে চারিদিক থেকে পুলিশ দ্বীপের মতো করে ঘিরে ফেলে। তিনিই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার 12 ঘণ্টার উত্তরবঙ্গ বনধের কথা জানান। এদিকে, এদিন পুলিশ সংযত ছিল বলেই প্রতিক্রিয়া দেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। রাজ্যের মন্ত্রী গৌতম দেব আবার বলেন, বিজেপির কর্মী মৃত্যু সংক্রান্ত কোনো খবর জানেন না তিনি। পাল্টা তাঁর অভিযোগ, বিজেপিই ঝামেলা বাধিয়েছে।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2020/12/WhatsApp-Image-2020-12-07-at-19.23.02.jpeg)
এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন সন্ধ্যায় হাওড়া ময়দান এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। পাশাপাশি হাওড়া-আমতা রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। পোড়ানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল। এদিন সদর হাওড়ার যুব মোর্চার জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহা বলেন, “একুশের নির্বাচনে তৃণমূল ক্ষমতায় থাকবে না বুঝতে পেরে পুলিশের সাহায্যে খুন করছে। “
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2020/12/WhatsApp-Image-2020-12-07-at-19.23.01.jpeg)