আপনার মতো ফেরেব্বাজ , চিটিংবাজ খুব কমই আছে। আর আমাকে বলছেন, শুভেন্দু ঘুষখোর, মধুখোর। আমি ঘুষখোরই যখন ২ ডিসেম্বর হাতেপায়ে ধরেছিলি কেন? সোমবার তমলুকের সভা থেকে এভাবেই নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, ছোটবেলা থেকে চিটিংবাজিতে হাত পাকিয়েছেন ‘ তোলাবাজ ভাইপো’।
এদিন শুভেন্দু নারদ ও সারদা-কাণ্ড নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা অভিযোগের জবাবে পাল্টা আক্রমণ করেন। উল্লেখ্য, রবিবার একটি চিঠি হাতে নিয়ে কুলতলির সভা থেকে শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন অভিষেক। ওই চিঠি সুদীপ্ত সেনের লেখা বলে অভিযোগ তুলে অভিষেক বলেন, সারদাকর্তার কাছ থেকে টাকা নিতেন শুভেন্দু। এমনকি রাজ্য ছেড়ে যাওয়ার আগের দিনও তিনি টাকা নিয়েছিলেন। সে প্রসঙ্গ তুলে এদিন শুভেন্দু বলেন, আমাকে বলছে, তোয়ালে মুড়িয়ে কী নিতে দেখা গিয়েছে। আমি বলছি, কেডি সিংকে তো পাঠিয়েছ তুমি। আমাকে তোলাবাজ বলছো? এরপরই শুভেন্দুর প্রশ্ন তাহলে বড় জ্যাঠা সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মেজ জ্যাঠা সৌগত রায়, পিসিমণি কাকলি ঘোষ দস্তিদার, কাকা ফিরহাদ হাকিমের কী হবে। একইসঙ্গে
শুভেন্দুর পাল্টা দাবি, নবান্নের এক আইপিএস কর্তাকে কাজে লাগিয়ে জেলে থাকা সারদাকর্তাকে দিয়ে জোর করিয়ে ওই চিঠি লিখিয়ে নিয়েছে তৃণমূল।
শুভেন্দুর আরও দাবি, ‘‘আমি ২৭ নভেম্বর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছি। আর ১ ডিসেম্বর জেলে থাকা সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে চিঠি লিখিয়েছে ভাইপো।’’ এরপরই তিনি বলেন, ‘‘আমি অত্যন্ত মর্মাহত, চিঠিতে বিমানবাবুর নাম নেওয়া হয়েছে। বিমান বসুর ব্যাপারে এই তোলাবাজ ভাইপো জানে না। বিমানবাবু এখনও নিজের কাপড় নিজে কাচেন। দুপুরবেলা আমরা সবাই ভাত, রুটি খাই। বিমানবাবু এখনও দুপুরে মুড়ি আর শশা খান। রাতের বেলা গণশক্তি অফিস থেকে ফেরেন। তাঁর নাম পর্যন্ত লিখিয়েছে। আসলে একুশের ভোটে যাঁরা বিরোধিতা করতে পারেন, তাদের সহ আমার নাম লিখিয়েছে।’’