নিজস্ব প্রতিনিধি, বীরভূম: আজ থেকে বেজে গেছে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ডঙ্কা। আজই পশ্চিমবঙ্গে হয়ে গেলো প্রথম দফার নির্বাচন। এই নির্বাচনে কিছু কিছু জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত কিছু গন্ডগোলের খবর এলেও বাকি নির্বাচন পর্ব শান্তিতেই মিটেছে, একথা বলাই যায়। কিন্তু তাই বলে অন্যান্য দফার নির্বাচনের প্রচারও থেমে নেই। এরকমই একটি কেন্দ্র হল বীরভূমের সাঁইথিয়া, যেখানে আজ কর্মী সভা করলেন সেখানকার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী।
মূলত সাঁইথিয়ার সকল তৃণমূল কর্মীদের একত্রিত করার জন্য ডাক দেওয়া হয়েছিল এই কর্মীসভার। এই সভা থেকেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব দলকে পাঁচ থেকে ছয় হাজার ভোটে লিড দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এলিট দেওয়ার জন্য দলের সর্বস্তরের কর্মীদের একত্রে নির্বাচনের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার অনুরোধ করেন স্থানীয় নেতারা। একইসঙ্গে তাদের মতামত যে দলের কর্মীরাই দলের সম্পদ, তৃণমূল কংগ্রেস কোন এক ব্যক্তির দল নয় বরং তৃণমূল কংগ্রেস তার সমস্ত কর্মীদের দল। তাই দলের সর্বস্তরের কর্মীদের সহায়তা ছাড়া এই নির্বাচনী বৈতরণী পার করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। একই সঙ্গে ব্যক্তিনির্ভরতা না করে সবাই মিলে কাজ করার আহ্বান শোনা যায় স্থানীয় নেতৃত্বর মুখে। আগামী ২৯ শে এপ্রিল শেষ দফার নির্বাচনে বীরভূমের সাঁইথিয়ায় ভোট গ্রহণ পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে সেখানকার বিদায়ী বিধায়ক তথা বর্তমান তৃণমূল প্রার্থী লীলাবতী সাহা তার দলের সমস্ত কর্মীদের কাছে তার অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো ধরনের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিলেন। এদিন সংঘটিত হওয়া এই কর্মীসভায় তেই তার এই ক্ষমাপ্রার্থনা ভোটের ফল নির্ধারণের অন্যতম চাবিকাঠি হতে চলেছে বলে মতামত রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞদের। বিভিন্ন ছোট ছোট কর্নার করে ও কর্মীসভা করে তিনি এ অঞ্চলে প্রচার চালাচ্ছেন। এ অঞ্চলে তার প্রবল প্রতিপক্ষ সংযুক্ত মোর্চার মৌসুমী কোনারও বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচারের ঝাঁজ অনেকটাই বাড়িয়েছেন। তাই এই অঞ্চলে বিধানসভা নির্বাচনে তুল্যমূল্য লড়াই হবে, একথা বলাই যায়।