উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের আজ শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এই মামলার দুই দফায় শুনানি হয়। এদিন শুনানির পর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিলেন এসএসসি কে আগামী সাত দিনের মধ্যে নম্বরসহ স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। তিনি এও বলেন যে ,কারা কারা ইন্টারভিউ দিতে পারবেন এবং কারা এই ইন্টারভিউতে ডাক পাবেন না তাদেরও নম্বর সহ নাম সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত করতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী শুক্রবার। সুতরাং সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ মামলা অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের মেয়াদ বেড়ে গেল ।
২০১৯ সালের ১ লা অক্টোবর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। মাঝে দু’বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো শিক্ষক নিযুক্ত করনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি । চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ এর মেধা সহ তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সেই নিয়ম না মেনে চলতি বছরের ২১ জুন ইন্টারভিউ এ বসতে পারবে এমন পরীক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করে দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে। তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরেই মাথায় হাত পড়ে বেশকিছু মেধাবী পরীক্ষার্থীর। স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রকাশ করা ওই তালিকার অভিযোগ তোলে হাইকোর্টে মামলা করেন বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী।
এদিন হাইকোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশন কে রীতিমতো কটুক্তি করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “স্কুল সার্ভিস কমিশন অপদার্থ ! কি ধরনের আধিকারিকরা কমিশন চালাচ্ছেন ? এই কমিশনকে অবিলম্বে খারিজ করা উচিত “। প্রথম দফায় কমিশনের কোনো প্রতিনিধি আদালতে হাজির ছিলেন না। ফলে দ্বিতীয় দফায় শুনানিতে খোদ স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান কে সশরীরে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দপ্তর এর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান।আদালতে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্কুল সার্ভিস কমিশন কে কড়া নির্দেশ দেন, “আগামী ৭ দিনের মধ্যে নম্বর সহ কমিশনের ওয়েবসাইটে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। এমনকি ইন্টারভিউ তে যারা ডাক পাবেন না তাদেরও নম্বরসহ নাম প্রকাশ করতে হবে । তারপরই টেট মামলা বা উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হবে”।