ফের জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী। তিনদিনের সফরে পূর্ব মেদিনীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে মুখ্যমন্ত্রী খেজুরির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এদিন সভা মঞ্চ থেকে সিপিএমকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই একই মেজাজে তিনি বুঝিয়ে দেন রাজ্যের কোনও ক্ষতি তিনি বরদাস্ত করবেন না। প্রায় এক হাজার প্রকল্পের শিলন্যাস এবং উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের মঞ্চ থেকেই সিপিএমের বিরুদ্ধে সরব হন মমতা। তিনি বলেন, “সিপিএমের হার্মাদরা এখন বিজেপির ওস্তাদে পরিণত হয়েছে। একসময় খেজুরিতে ঢোকা যেত না। সিপিএমের অত্যাচারে মানুষ অত্যাচারিত। আমার একজন ছাত্রী বন্ধুকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হয়েছিল। এরপর তাঁর বাবার নামে দোষ দেওয়া হয়েছিল। সিপিএমগুলি এখন বিজেপি হয়েছে।”
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2022/11/mamata-banerjee-290819-salil.jpg)
তাঁর কথায়, “এবার দুয়ারে সরকার বুথে বুথে হচ্ছে। আগে লাট সাহেবের মতো বসে থাকত রাজ্য সরকার। তারা গ্রামে যেত না। আমাদের সরকার আপনার বুথে এসে পরিষেবা দিচ্ছে। তফশিলিদের জন্য মেধাশ্রী প্রকল্প এনেছে রাজ্য সরকার। ৩ কোটি ছেলে মেয়েদের স্কলারশিপ পাচ্ছে। এবার আবার ৪০ লক্ষ পাবে। যাঁদের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেই তাঁরাও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন। ৬০ বছরের উর্ধে ব্যক্তিরাও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন।”
এদিন খেজুরির ঠাকুরনগর ময়দানে সরকারি কর্মসূচি থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি প্রশাসনকে বলব, ৬ তারিখটা খুব সতর্ক থাকুন। ওরা আবার দাঙ্গা করার প্ল্যান করতে পারে। তা যাতে করতে না পারে সেটা আমাদের দেখতে হবে। ৬ এপ্রিল হনুমান জয়ন্তী রয়েছে। ওইদিন বজরংবলীর পুজো হয়। আমরা সবাই বজরংবলীকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু দাঙ্গাবাজিকে আমরা সমর্থন করি না।” এরপরই মমতার সংযোজন, “হাওড়ায় অনুমতি ছাড়া সংখ্যালঘু এলাকায় মিছিল নিয়ে ঢুকে পড়েছিল। ইচ্ছে করে ওটা করেছিল। রমজান মাসে সংখ্যালঘুরা ফল খায়। সেই ফলের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। বন্দুক নিয়ে ডান্স করছে। কালকে রিষড়াতেও একই ঘটনা ঘটেছে।” এদিন হিন্দুদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী আবেদন জানিয়ে বলেন, “আমি হিন্দু ভাই-বোনেদের অনুরোধ করব, ওরা সংখ্যালঘু। ওরা যাতে সুরক্ষিত থাকে সেটা আপনাদের দেখতে হবে।”
এই সফরে মুখ্যমন্ত্রী নিজে হাতে প্রায় ৪৭৫ কোটির পরিষেবা প্রদান করেন। জেলাশাসক জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি থেকে পরিষেবা পাবেন জেলার ২ লক্ষ ৯৮ হাজার মানুষ। এছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুরে ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প। সেই ক্যাম্প থেকে মানুষকে কীভাবে দ্রুত পরিষেবা প্রদান করা হবে সেই রূপরেখাও বানিয়ে ফেলেছে জেলা প্রশাসন। ২০ দিনের মধ্যে যাতে জেলার প্রত্যেকে পরিষেবা পান, তা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।