আচমকা গুলির বিকট শব্দ৷ রবিবার ভরসন্ধ্যায় শক্তিগড়ের কাছে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু দুর্গাপুরের ব্যবসায়ী রাজু ঝা। গুলির শব্দে চমকে উঠেছিলেন স্থানীয়েরা৷ ততক্ষণে সাদা রঙের একটি ফরচুনা গাড়িতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ড্রাইভার এর পাশে পড়ে রয়েছেন একজন। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু দুর্গাপুরের ব্যবসায়ী রাজু ঝার। শনিবার শক্তিগড়ের কাছে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, একাধিক গুলি বিদ্ধ করেছিল রাজুর শরীর। গুরুতর আহত তাঁর সঙ্গীও। কয়লা মাফিয়া বলে পরিচিত রাজু ঝা৷ গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ব্যবসায়ী পদ্ম শিবিরে নাম লেখান। যদিও তাঁর সঙ্গে বামেদেরও সখ্যতা ছিল বলে জানা গিয়েছে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, তিনি কলকাতা থেকে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন। তখনই তার উপর হামলা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, নীল রংয়ের একটি চারচাকা গাড়ি করে এসে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা শক্তিগরের ল্যাঙচার দোকানের সামনে সাদা রঙের গাড়িতে থাকা আরোহীকে কয়েক রাউন্ড গুলি করে কলকাতার দিকে পালিয়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা ভিড় করেন। জাতীয় সড়কে প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা। কে বা কারা হামলা চালাল, স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই খুনে ব্যবহৃত গাড়িটি শক্তিগড় থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া গাড়িটির নম্বর প্লেট ভুল ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গাড়িটিতে মোট চারজন ছিলেন। গাড়ির চালকের পাশের আসনে বসে ছিলেন রাজু ঝাঁ। তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। আরও একজনের গুলি লেগেছে। তারপর পুলিশ মৃত এবং আহত দুজনকেই উদ্ধার করে বর্ধমানের একটি হাসপাতালে পাঠায়। পরপর গুলি ছুড়েই নীল গাড়িটি দ্রুতবেগে কলকাতার দিকে বেপাত্তা হয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। পুলিশ এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। এলাকায় ব্যপক তল্লাশি চলছে। কারা রয়েছে এর পেছনে? ব্যবসায়িক শত্রুতা নাকি এর পেছনে অন্য় কোনও কারণ? সবটাই দেখছে পুলিশ। চলছে নাকা তল্লাশি।