সাগরদিঘির উপনির্বাচনের পর রাজ্যে হাওয়া বদল হতে শুরু করেছে। একথা রাজনৈতিক মহলে ঘোরার পরেই পালাবদলের সুর তুললেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি৷ এবার কংগ্রেস নেতার দাবি রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী ও তৃণমূলের সাংসদরা দলবদলের জন্য ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন৷ তাঁরা কংগ্রেসে আসতে চান৷ এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। মালদার একটি সভায় গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কৌস্তুভ। কংগ্রেস নেতার দাবি, তৃণমূলের দুজন মন্ত্রী ও দুই সাংসদ কংগ্রেসে ফেরার জন্য দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কৌস্তুভের দাবি বিষয়টি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর কাছে না পৌঁছালেও শীর্ষস্তরের বেশ কয়েকজন নেতাদের সঙ্গে তলে তলে তৃণমূলের দুই মন্ত্রী ও দুই সাংসদ কংগ্রেসে আসার জন্য যোগাযোগ রাখছেন। বেশ কিছু বিধায়কও কংগ্রেসে ফেরার জন্য যোগাযোগ রাখছেন বলে দাবি কৌস্তভের। আগামী দিনে কংগ্রেসে এই যোগদান মহীরুহু আকার নেবে বলেও দাবি করেন কংগ্রেস নেতা।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2023/04/IMG-20230403-WA0001-1024x576.jpg)
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও একই দাবি করেন কংগ্রেস নেতা। একইসঙ্গে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান তিনি। কৌস্তভের কথায় পুলিশ ‘তৃণমূলের দলদাসে’ পরিণত হয়েছে। এরপরই কৌস্তবের সংযোজন ‘তৃণমূলের তাসের ঘর’ ভাঙতে শুরু হয়েছে। যোগদান জল্পনা প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতার যুক্তি, “তৃণমূল মানেই বিজেপি, বিজেপি মানেই তৃণমূল, অর্থাৎ এই ভুল মানুষের ভাঙছে, কংগ্রেস যে বিকল্প মানুষ সেটা আজ বুঝতে পারছে। আর তাই কংগ্রেসের যোগদানের হিড়িক পরছে।” পাশাপাশি রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়েও তৃণমূল-কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচী। কৌস্তুভ বলেন, “গরু পাচার কাণ্ড থেকে কয়লাকান্ড একাধিক ইস্যুতে যুক্ত তৃণমূল। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা উদ্ধার হচ্ছে। আর তাতেও জড়িত তৃণমূলই।” পাশাপাশি এদিন রাজু ঝা হত্যাকাণ্ড নিয়েও মুখ খোলেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা তিনি বলেন, “রাজুর কাছে হয়তো অনেক মাথার নাম ছিল। আর তাই পরিকল্পনা করে রাজুকে মেরে ফেলা হল।”
একইসঙ্গে এদিন মালদা থেকে হুঁশিয়ারিও দেন কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, “কংগ্রেস কর্মীদের গায়ে হাত দিলে তার ফল ভালো হবে না। আমরা কেউ অহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করিনা। আমরা সব সময় অহিংসার নীতিতে বিশ্বাস করি। আমাদের ওপর কেউ অত্যাচার করলে তার পাল্টা জবাব দিত কংগ্রেস কর্মীরা পারে।”