বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজের দেশকে পার্শ্ববর্তী শক্তিশালী দেশ হাত থেকে বাঁচাতে যৌথ মহড়ায় অংশ নিল ভারত। রবিবার থেকে ভারত মহাসাগরে শুরু হয়ে ভারত-আমেরিকার যৌথ নৌ মহড়া। আজ এই মহড়া শেষ হবে। দু’ দেশের সামরিক সহযোগিতাকে আরও দৃঢ় করতেই এই কর্মসূচি বলে জানানো হয়েছে। গত কয়েক দশকে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো থাকলেও, সামরিক সহযোগিতা পাওয়ার মতো জায়গায় তা ছিল না । তবে বর্তমানে তা আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে।চিনের তরফে এখনও পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও নভেম্বরে ‘কোয়াড’-এর নৌ-মহড়া নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল। যদিও এই আপত্তিতে কোন ভ্রুক্ষেপ করেনি কোয়াড’-এর বাকি দেশগুলো এর ফলেই যৌথ নৌ-মহড়া অনুষ্ঠিত হলো গতকাল।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/03/WhatsApp-Image-2021-03-29-at-11.12.33.jpeg)
এই যৌথ মহড়াতে উভয় দেশ নিজের ক্ষমতা প্রদর্শনের পাশাপাশি নিজেদের সামরিক বাহিনীকে অন্য দেশের কৌশল রপ্ত করার মাধ্যমে উন্নত করার চেষ্টা করছেন।যৌথ মহড়ায় ভারতের তরফে অংশ নিয়েছে শিবালিক ও টহলদারি বিমান ‘পি৮আই’ । অন্যদিকে মার্কিন বাহিনীর তরফে রয়েছে ‘ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্ট’ ক্যারিয়ার স্ট্রাইকার গ্রুপ। মার্কিন সেনাবাহিনীর তরফে অংশ নেওয়া এই ক্যারিয়ার স্ট্রাইকার গ্রুপ যথেষ্ট শক্তিশালী। এটি আসলে একটি বিমানবাহী রণতরী। এর সঙ্গে রয়েছে অনেকগুলি ডেস্ট্রয়ার জাহাজ। যেগুলি বিরোধীপক্ষকে আক্রমণ করতে সক্ষম। এছাড়া রয়েছে ফ্রিগেট, যেগুলি দ্রুত গতির যুদ্ধ জাহাজ।পার্শ্ববর্তী শক্তিশালী দেশ চীন এবং চৈনিক সামরিক বাহিনীকে প্রতিহত করার আভাস দিতেই , এই মহড়া শুরু করা হয়েছিল বর্তমানে চৈনিক সামরিক বাহিনী ভারত মহাসাগরে নিজের ক্ষমতা প্রদর্শনের চেষ্টা করছে। পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিনগুলি দীর্ঘ সময় জলের ওপরে না এসেই নীচেই পেট্রোলিং-এর কাজ চালাতে পারে।তাই বর্তমানে ভারতীয় নৌ সেনাদের ক্ষেত্রে যুদ্ধজাহাজের থেকে সাবমেরিন অনেক বেশি যুক্তিযুক্ত।