ভ্যাকসিনের দামে গোপনীয়তা বজায় রাখতে না পারায় নেপালের উপর অসন্তুষ্ট হল চীন। সূত্রের খবর চিন থেকে ৪০ লক্ষ করোনা টিকার ডোজ ক্রয় করার কথা ছিল নেপালের। জানা যাচ্ছে বেজিং থেকে সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের ডোজ ক্রয় করার কথা হয়েছিল। তবে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়, দাম ,বন্টন এবং আমদানি বিষয়ক তথ্য গোপন রাখা হবে । কিন্তু সম্প্রতি নেপালের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে চিনের সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের দাম পড়বে প্রায় ১০ ডলারের কাছাকাছি। আর এই তথ্য সামনে আসার পর থেকেই নেপালের উপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ চৈনিক সরকার এবং বেজিংয়ের নীতি নির্ধারক বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়াও ইতিমধ্যেই নেপালি এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে এই বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে চীনের ভ্যাকসিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিনোফর্ম। চিনের বিদেশমন্ত্রককে এই ব্যাপারে সতর্ক করেছেন কাঠমান্ডুর চিনা দূতাবাস। মূলত নেপালে করোনা সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই প্রতিবেশী দেশ ভারতের কাছে আবেদন জানানোর বার্তা দিয়েছিলেন নেপালের রাষ্ট্রপ্রধান। তবে বর্তমানে টিকা আমদানির ক্ষেত্রে চীনের ওপরেই নির্ভরশীল নেপাল । সেক্ষেত্রে চীনের এই ক্ষুব্ধতা আগামী দিনে টিকা বন্টনের ক্ষেত্রে কোনো নেতিবাচক সিদ্ধান্তের কারণ হয়ে দাঁড়াবে কিনা সে বিষয়ে চিন্তিত নেপাল। ফলে তড়িঘড়ি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যকে ভিত্তিহীন বলে একটি বিবৃতি জারি করা হয় নেপাল সরকারের তরফে। বলা হয়, ‘চিনের ভ্যাকসিন নিয়ে মিডিয়ার রিপোর্ট ভিত্তিহীন। চিনের সঙ্গে ভ্যাকসিন কেনা নিয়ে আলোচনায় এখনও চূড়ান্ত কিছু নির্ধারণ হয়নি। ইংরেজি সংবাদমাধ্যমগুলি এই খবর প্রকাশিত করায় বিবৃতিটিও ইংরেজিতেই প্রকাশ করা হল।”