নতুন বছরের শুরুতেই, করণা মোকাবেলায় কিছুটা সফলতা পেয়েছে রাজ্য , মৃত্যুর হার কমে এসেছে ১৮ এর কাছাকাছি। সংক্রমণ না হলেও মৃত্যু নিয়ে এখনও ভয় আছে রাজ্যবাসীর। নতুন বছরে বাংলায় করোনার আক্রমণ এবং মৃত্যুর হার এর গ্রাফ নিম্নগামী। একটা গোটা বছর পেরিয়ে গেছে করণা সংক্রমিত হয়ে, মানুষ এখনও আশাবাদী একটি নতুন স্বাস্থ্যকর বছরের জন্য। গত বছরের শেষের দিকে যেখানে করনা দৈনিক সংক্রমণ হচ্ছিল প্রায় ৩ থেকে সাড়ে তিন হাজার সেখানে বর্তমানে দৈনিক সংক্রমণ হাজারের নিচে। সেই সুবাদেই আশাবাদী পশ্চিমবঙ্গের আমজনতা। যদিও গত তিন-চার দিনের সংক্রমণে তুলনায় আজকের সংক্রমণ সামান্য বেশি তবে তাও রয়েছে নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই।
গতদিন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন এর রিপোর্ট অনুসারে ২৪ ঘন্টায় ৩৫৮৬৭ জনের টেস্ট করা হলে, তাতে পজিটিভ রোগীর সংখ্যা হয় ৯২১ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট করণা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৫৮হাজার ১৭৩ জন। ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়েছেন৫ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮১৬ জন।
ইতিমধ্যেই অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড এবং ভারতের কো- ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পেয়েছে করোনার জরুরী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য। ভারতের বহু রাজ্যে ইতিমধ্যে ড্রাইরান শুরু হয়ে গেছে এবং পশ্চিমবঙ্গের মোট ৬৯ টি এলাকাতে শুরু হয়ে গেছে ড্রাইরান। ড্রাইরান প্রধানত তিনটি পদ্ধতির মধ্য দিয়ে হচ্ছে। এবং পুরো প্রক্রিয়ার নথি কো উইন অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্টার করা হবে। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে আধার কার্ড কে করা হয়েছে আইডেন্টিটি প্রুফ। এই অ্যাপে পূর্বেই জমা দিতে হবে সমস্ত ডকুমেন্ট পড়ে কেন্দ্রে গিয়ে গ্রহণ করতে হবে টিকা সে ক্ষেত্রে কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হলে ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে তা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই দুই ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র পেয়ে আশাবাদী ভারতের জনগণ।