আগামী ৯ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য দ্বারা গৃহীত পদক্ষেপ যথার্থ না হলে বন্ধ হতে পারে উৎসব এমনটাই জানালন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণন। এ বিষয়ে রাজ্য মুখ্য সচিব, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে আগামীকাল হলফনামা জমা করতে নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রয়োজনে জল ছিটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা অথবা জল বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। দুর্গাপুজো কালীপুজো ছট পুজো বা ক্রিসমাস কোনটার সাথেই গঙ্গাসাগর মেলার ভিড়ের তুলনা করা যায় না, করা যায় তো কুম্ভ মেলার সঙ্গে করা যায়।

গতবছর প্রায় 25 লক্ষ পুণ্যার্থী উপস্থিত হয়েছিল গঙ্গাসাগর মেলায়। এই বছর করোনা আতঙ্কে ভিড় কমলেও সংক্রমণ ঘটতে পারে বিশাল সংখ্যক পুণ্যার্থীর। ইতিমধ্যেই মেলা চত্তরে ব্যাবস্থা করা হয়েছে করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র, হাসপাতাল, কোয়ারান্টাইন সেন্টার, সেফ হোমের।
মামলার শুনানিতে বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণন বলেন যে তিনি প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তিত। করোনাভাইরাস মানুষের মুখ ও নাক নিঃসৃত ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায়। অনের মানুষ একসঙ্গে স্নান করতে নামলে নাক ও মুখ নিঃসৃত ড্রপলেট সহজেই জলে মিশে যাবে, যার ফলে সংক্রমিত হতে পারে অনেকে।