সারা দেশ লড়ছে করোনার প্রথম ঢেউ নিয়ে। বিভিন্ন রাজ্যে জারি হয়ে রয়েছে লকডাউন। তবে সুস্থতার হার কিছুটা বাড়লেও এখনও বিপদ কাটে নি বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। আগামী ২ মাসের মধ্যেই আছড়ে পড়বে করোনার তৃতীয় ঢেউ। দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল স্যায়েন্সের দাবি কেউ আটকাতে পারবে না করোনার তৃতীয় ঢেউ। তিনি জানিয়েছেন যেইভাবে দেশের সংক্রমণের হার বেড়ে গিয়েছিলো তাতে, আগামী ৬-৮ সপ্তাহের মধ্যেই আছড়ে পড়তে পারে করোনার ‘থার্ড ওয়েভ ‘ তার বক্তব্য কোভিড মোকাবিলায় দেখা দিয়েছে অনেক অসচেতনতা ও এই বিপর্যয়ের কারণ তাই। আনলক পর্যায়ে বেশিরভাগ মানুষের অসচেতনতার ভাব লক্ষ্য করা যায়, সেই সময় উৎসব অনুষ্ঠানও চলেছিল নির্ভিগ্নে। এইসব কারণেই সংক্রমণ তো বেশি বেড়ে গিয়েছে বটেই উল্টে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার বিভিন্ন আলাদা রকমের প্রজাতি। গুলেরিয়া বলেছেন, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ থামলেও আসবেই তৃতীয় ঢেউ। তার জন্য আমাদের আগে থেকেই প্রস্তুত থাকা উচিত। করোনার কার্ভের ওঠাপড়া গণনা করতে তৈরী করা হয়েছে গাণিতিক মডেল ” সূত্র”, তাতেও এই একই সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে। এই ‘সূত্র’ আমাদের জানাবে করোনা সংক্রমণের হার কী গতিতে বাড়তে পারে বা বাড়ছে, সংক্রমণের সংখ্যা কত, আক্রান্তের সংখ্যা কত, একটিভ রিপ্রোডাকশন নম্বর অর্থাৎ যাকে বলে আর নম্বর ইত্যাদি ফ্যাক্টর একটি গাণিতিক মূল্যায়ন।
মার্চ মাস থেকেই ভাইরাসের একাধিক সুপার স্প্রেডের ছড়িয়ে পরে। তার জন্য আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার সতর্কতাও জানানো হয়। এর পরেই ভোট কেন্দ্রিক পরিস্থিতো চলেছে করোনাবিধি না মেনেই, করোনা কার্ভ যখন শীর্ষে তখন চলে কুম্ভমেলা। ফেব্রুয়ারি থেকেই চলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, নির্বাচনী প্রচার ও খেলা। বাড়তে থাকে লোকাল ট্রেনের ভিড়, নিত্যদিন মানুষ ভিড়ের মিধ্যেই যাতায়াত করতে থাকে। মহারাষ্ট্রে কোরোনা আক্রান্তদের মধ্যে ১০-১৫% মানুষের মধ্যেই পাওয়া যাও মিউট্যান্ট প্রজাতির স্টেন। তাই এই ভাইরাস আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসে ও তাঁরই পরিনাম এই তৃতীয় দেয় আসার সম্ভবনা।