রামমন্দির উদ্বোধনের আর মাত্র দিনকয়েক বাকি। এখন ‘যম নিয়ম’ পালন করছেন মোদি। খাচ্ছেন ডাবের জল। মেঝেতে মাদুর বিছিয়ে শুচ্ছেন । এ’দিন ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’র সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরতে এই ‘বিকশিত ভারত’ তার তুরুপের তাস বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা এতে যোগ দেন এ’দিন।
প্রধানমন্ত্রী মুম্বইয়ের রূপান্তরকামী কল্পনা বাঈ-এর সঙ্গে কথা বলেন। কল্পনা একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী চালান। মহারাষ্ট্রে রূপান্তরকামীদের নিয়ে এই ধরনের গোষ্ঠী গঠন এই প্রথম। নিজের লড়াইয়ের কাহিনি বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তার সংবেদনশীলতার জন্য ধন্যবাদ জানান কল্পনা। রূপান্তরকামীদের কঠিন জীবনের কথা বলতে গিয়ে কল্পনা মোদিকে বলেন, ভিক্ষা এবং অনিশ্চয়তার জীবন চালানোর পর তিনি এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাজ শুরু করেছিলেন। কল্পনার কথায় ছিল মোদি-প্রশংসার ফুলঝুরি। পরিবর্তে, কল্পনার অদম্য মনোভাবের জন্য প্রধানমন্ত্রীও তাকে কুর্নিশ জানান। মোদি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হল বঞ্চিতদের অগ্রাধিকার ও উন্নয়ন।
এ’দিন মোদি রাজস্থানের দুঙ্গারপুরের মমতা ধিন্দোরের সঙ্গেও কথা বলেন। একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত মমতা। যৌথ পরিবারের এই মহিলা ১৫০টি গোষ্ঠীর ৭ হাজার ৫০০ জন মহিলার সঙ্গে কাজ করেন। তিনি নিজে ঋণ নিয়ে সব্জি চাষ শুরু করেন। সব্জির একটি দোকান চালিয়ে অন্যদের কাজের সুযোগও করে দিয়েছেন তিনি। ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র কল্যাণে পাকা বাড়ির স্বপ্নও তার পূরণ হয়েছে বলে তিনি জানান। কল্পনার মতো তিনিও বারবার মোদিজিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীও তার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, দুঙ্গারপুরের একটি ছোট গ্রামের মা ও বোনেদের আশীর্বাদ পেয়ে তিনি ধন্য।