জল্পনার অবসান শেষ। ৪ মার্চ সন্ধ্যায় রাজ্যে আসছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। ৫ মার্চ সকালে প্রথমে সব জাতীয় ও স্থানীয় স্তরের স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা। এরপর জেলাশাসক জেলা পুলিশ সুপার সহ অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে সন্ধ্যা পর্যন্ত বৈঠক করবে।
পরের দিন ৬ মার্চ সকালে প্রথমে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ও অন্যান্য আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক। এরপর পুলিশের নোডেল অফিসারের সঙ্গে বৈঠক করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তারপর সমস্ত কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার ও রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা। এরপর দুপুর দু’টো থেকে রাজ্য প্রশাসনের স্বরাষ্ট্র সচিব এবং মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক করবে। তারপরেই সাংবাদিক সম্মেলন করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। এদিনই সন্ধ্যায় দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তাঁরা।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/07/election_commision.jpg)
নির্বাচনী নির্ঘণ্টে প্রকাশ হওয়ার আগে থাকতেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন যে ধরনের পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করছে তা নজিরবিহীন। এমনকি এবার ওয়েব কাস্টিং হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে। অন্যদিকে নিরাপত্তা এবার আরও যে কঠোর এবং কঠিন করা হচ্ছে তা একপ্রকার বুঝিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন তার কারণ, এতদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দায়িত্ব থাকতো বিএসএফের ওপর কিন্তু এবার প্রথম কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থেকে শুরু করে তার সম্পূর্ণ গতিবিধি সবকিছু নজরদারি করবে একমাত্র সিআরপিএফ। এখন দেখার বিষয় একটাই পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে করাতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন কতটা সক্ষম হয়।