দীপাবলীর এই পুণ্য লগ্নে আজ সকাল থেকেই মহাসমারোহ শুরু হয়েছে তারাপীঠে। আর এই দীপাবলীর দিনে প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও ঘোষ পরিবারের পক্ষ থেকে প্রায় ৮০ কেজি দুধ অর্পণ করা হয়েছে মাতৃ আরাধনায়। তারাপীঠের মাতৃ আরাধনায় ইতিমধ্যেই ৮০ কেজি দুধ দিয়ে ভৈরব স্নান সম্পন্ন হল তারাপীঠে। মঙ্গলারতি দিয়ে সকালের শুভ সূচনা করেই, দেবাদিদেবকে ৮০ কেজি দুধে স্নান করিয়ে দিনের শুভ সূচনা করা হল। এখানেই শেষ নয়, সন্ধ্যাতে নিয়ম মাফিক ভাবেই হবে আরতী এবং মাতৃপূজো । ইতিমধ্যেই মন্দির প্রাঙ্গণে ভিড় করতে শুরু করেছেন দর্শনার্থীরা। মাতৃদর্শনে উদ্বিগ্ন এই দর্শনার্থীদের জন্য করোনা বিধি মেনে চলার বিষয়টিকেও বারংবার সকলের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীপাবলি দিনে তারাপীঠের মা তারা কেই কালী রূপে পূজা করা হয়। জানা যায় এই দিনে মা তারা কেই শ্যামা রূপে স্নান করানো হয় ভোর বেলাতে। তারপর অষ্টধাতুর মুণ্ডমালা থেকে শুরু করে এবং সোনার অলংকারে সাজানো হয় শ্যামা রূপে। তারপর শুরু হয় মাতৃ আরাধনা, মঙ্গলারতি এবং মায়ের সামনে দেওয়া হয় শীতলভোগ। কখনও ফুলের মালা তো, কখনও ডাকের সাজে সেজে ওঠেন মা। প্রতিবছর আজকের দিনে নাটোরের পুরোহিত এবং মন্দিরের পালাদার সেবায়িততরা যৌথভাবে পুজো করেন। একদিকে চলতে থাকে চণ্ডীপাঠ, অপরদিকে চলতে থাকে মায়ের পুজো। পূজার শেষ লগ্নে মায়ের সামনে নিবেদন করা হয় খিচুড়ি, মাছ ,মাংস পোড়া শোল মাছ, বিভিন্ন রকমের ভাজা মিষ্টি এবং আরও নানা উপকরণে। আজকের দিনে সারা মন্দির চত্বর আলোর রোশনায়ে সাজিয়ে দেওয়া হয় । শুধু তাই নয় মহাশ্মশানে চলতে থাকে অঘোরী সন্নাসী এবং তান্ত্রিকদের যোগ্য। এমনকি আজকের দিনে সারারাত খোলা থাকে মায়ের মন্দিরের দরজা।