0
0
শুরু হয়ে গেছে নারোদা মামলার শুনানি । এই মুহূর্তে চলছে দুই পক্ষের সওয়াল জবাব। মামলা চলছে সিবিআই বনাম তৃণমূলের। একদিকে যেমন তৃণমূলের তরফ থেকে জামিনের স্থগিতাদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়েছিল ঠিক তেমনি অপরদিকে সিবিআইয়ের তরফ থেকে এই মামলার শুনানি অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত করার আবেদন জানানো হয়েছিল একই সঙ্গে চলছে দুই মামলার শুনানি। এই মুহূর্তে শুরু হয়ে গেছে সাওয়াল জবাব। ফিরহাদ হাকিমের হয়ে লড়বেন আভিষেক মনু সিংঘভি, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হয়ে লড়বেন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়, মদন মিত্রের হয়ে লড়বেন সিদ্ধার্থ লুথরা । অন্যদিকে সিবিআই-এর তরফে যারা মামলা লড়ছেন তাঁরা হলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জি দস্তুর ।
এখনও পর্যন্ত ঠিক কী কী প্রশ্ন করা হয়েছে দুই পক্ষের আইন জীবীদের তরফ থেকে তার মধ্যে জানা যাচ্ছে, সেদিনের পরিস্থিতির বিষয়ে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে তুষার মেহতার তরফে । সিবিআই পুলিশের সাহায্য না নিয়ে নিজেই কোর্টে আসে কি করে, ৪৫ বছরের বেশি বয়সী কাউকে কিভাবে আঁটকে রাখা যায় এমন প্রশ্ন করা হয় তৃণমূলের তরফে । অভিষেকের কথায় ৫ বছর পর কেন আচমকা এ মামলার কথা মনে পড়ল । একদিকে যেমন অভিষেক মনু সিঙ্গভি বলছেন, না জানিয়ে এমন মামলা করতে পারে না সিবিআই, জানানো হচ্ছে যে কোনো উদ্দেশ্যেই অভিযুক্তদের জেলে ঢোকানোর চেষ্টা করে চলা হচ্ছে সিবিআই তরফ থেকে। পাশাপাশি বলা যাচ্ছে এইভাবে জামিনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া যায় না। অপরদিকে সিবিআই তরফ থেকেও পাল্টা প্রশ্ন করা হয়েছে অনুমতি না নিয়ে কিভাবে নিজাম প্যালেসে পৌঁছেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ? বলা হচ্ছে মৌখিকভাবে অন্তর্বর্তী জামিন এইভাবে আইনানুগত উপায়ে খারিজ করা যায় না , পাশাপাশি জানতে চাওয়া হয়েছে এটা কি কোন ন্যায় বিচার? শুধু তাই নয় সিবিআইয়ের তরফ থেকে মামলা স্থানান্তরের কোন ধারা দেওয়া হয়নি । পাশাপাশি সিআরপিসি ৪০৭ নম্বর ধারা দেওয়া উচিত হয়নি বলেই জানাচ্ছেন অভিষেক মনু সিঙ্গভি। সিবিআইয়ের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী নিজে আইনমন্ত্রী হয়ে কিভাবে বিনা অনুমতিতে নিজামে পৌঁছতে পারেন ? ওদিকে আইনজীবী অভিষেক বলছেন করোনার এই মহামারী কালে এইভাবে আটকে রাখা যায়না কোন নেতা মন্ত্রীকে।
অভিষেক মনু সিংভির কথায়, এটা ৭৫ বছরে নজিরবিহীন ঘটনা ।
