রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম থেকেই একের পর এক অশান্তি লেগেই রয়েছে| শনিবার চতুর্থদফা ভোটের দিন ফের রক্তাক্ত হল বাংলার মাটি। কোচবিহারে ভোট চলাকালীন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে চারজনের। এই বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী । বললেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে তদন্তের আবেদন জানাব।” শিলিগুড়িতে সভা করলেন বিজেপির হেভিওয়েট প্রচারক। সেই সভা থেকেই কার্যত তৃণমূলকে দুষলেন, সরকারের সমালোচনার পর তিনি কোচবিহারের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন। বললেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল।” এর পরই ঘটনার দায় তৃণমূলের ঘাড়ে চাপিয়ে বললেন, “বিজেপির প্রতি মানুষের সমর্থন দেখে তৃণমূল ও তার গুন্ডাবাহিনী ভয় পাচ্ছে। তাই ওরা এসব করছে।” এর পরই রাজ্যের শাসকদলকে বিজেপির তারকা প্রচারকের হুঁশিয়ারি, “বাংলায় তৃণমূলের স্বেচ্ছাচারিতা আর চলবে না।”
একইসঙ্গে কোচবিহারের মর্মান্তিক ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের কাছে দোষীদের কড়া শাস্তির আরজি জানিয়েছেন তিনি। শনিবারের সভা থেকে মোদি আরও বলেন, “তৃণমূল নেত্রী শেখাচ্ছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর কীভাবে হামলা করতে হবে। কিন্তু মনে রাখবেন, দিদি এই হিংসা আপনাকে বাঁচাতে পারবে না। তৃণমূলের বিদায় আসন্ন।” কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তৃণমূলের গুন্ডারা ভয় দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করে বিজেপির তারকা প্রচারক বলেন, “ওঁরা জঙ্গিদের ভয় পায় না, বিরাট চ্যালেঞ্জকে ভয় না, আপনি কি ভাবেন গুন্ডাদের ধমকে ওঁরা ভয় পাবেন?”এছাড়াও রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের উচ্ছেদ মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিন কয়েক আগেই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল| তাতে দেখা গিয়েছে, “এখানে বিজেপি-বিজেপি করবেন না। এই জায়গা সরকারি, এখানে থাকুন। সরকার থেকে যা সাহায্য লাগবে, আমরা করব। আর যদি আমাদের বিরোধিতা করেন, তাহলে এই জায়গা থেকে উৎখাত করব। আমি গৌতম দেব। যা বলি তাই করি। আমার কাছে সব রিপোর্ট আছে। ওসব সন্ন্যাসী-টন্ন্যাসী আমাকে দেখাবেন না। আমি নিজেও সন্ন্যাসী। বিজেপি করবেন না। সব তৃণমূলকে ভোট দিতে হবে। কোনও কথা শুনব না।” এই মন্তব্যের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বললেন, “রাজ্যের কোনও মন্ত্রী কি এরকম করতে পারেন? আমি প্রধানমন্ত্রী হয়েও কি এই কাজ করতে পারি? কোনও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এই কাজ হতে পারে না।”