বঙ্গে চতুর্থ দফা নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গেই সকাল থেকেই উত্তপ্ত শীতলকুচি। শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের ১২৬ নম্বর বুথে ভোট গ্রহণের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করছে নির্বাচন কমিশন। শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে বিশেষ পর্যবেক্ষকদের রিপোর্ট হাতে পৌঁছতেই এই নির্দেশ আসে দিল্লি থেকে। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে বিকেল ৫টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। চতুর্থ দফা নির্বাচনের সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহার। দফায় দফায় সংঘর্ষে কার্যত তপ্ত হয়ে ওঠে শীতলকুচি। সেনাবাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ পুলিশ সুপার দেবাশীষ ধর। সকাল থেকে দুপুরের মধ্যেই সবমিলিয়ে মোট পাঁচজনের মৃত্যুর খবর আসে। সুষ্ঠু নির্বাচন করানোর ভার যাদের কাঁধে, তাঁদের নির্বিচারে গুলি চালানোর অধিকার কে দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জোড়াফুল শিবির ।
ওদিকে শীতলকুচির গুলিকাণ্ডে রবিবার রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদে নামার ডাক দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার শীতলকুচি যাচ্ছেন। তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় । সৌগতবাবু বলেন, “সেন্ট্রাল আর্ম পুলিশ ফোর্স চারজনকে কোচবিহারের শীতলকুচিতে গুলি করে মেরেছে। যারা মারা গেছেন তাঁদের নাম, হামিদুল হক, আমিনুল হক, মনিরুল হক ও নূর আলম। আপনারা জানেন কদিন আগে ওখানকার পুলিশ প্রশাসনের রদবদল ঘটে। ওখানকার এসপি, এডিজি ও ডিজিকে বদলি করেছে নির্বাচন কমিশন। মাথাভাঙ্গার তৃণমূল প্রার্থী রাজবংশী সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট মানুষ গিরীন্দ্রনাথ বর্মণের ওপর বিজেপি আক্রমণ করেছিল কিছু দিন আগে । আমরা এই গুলি চালনার তীব্র নিন্দা করছি। এটা ষড়যন্ত্র, আর এই ষড়যন্ত্র রচনা করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।”