করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে পরিস্থিতি যে ভয়াবহ আকার নিয়েছিল তা সকলেরই জানা আছে। সেই সময় জীবনদায়ী ঔষুধ চড়া দামে বিক্রি করা হয়েছিল। পাশাপাশি আকাল দেখা দিয়েছিল জীবনদায়ী ঔষুধের । টাকা দিয়ে ও বহু রোগীর পরিবার জীবনদায়ী ঔষুধ জোগার করতে পারে নি , মৃত্যু ঘটেছে বহু রোগীর। অথচ এখন দেখা যাচ্ছে শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালের পাশাপাশি বহু হাসপাতালে লক্ষ লক্ষ টাকার জীবনদায়ী ঔষুধ রেমডেসিভির নষ্ট হয়ে পড়ে আছে । কিন্তু প্রয়োজনের সময় পাওয়া যায় নি।
কলকাতার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে নষ্ট হয়ে গিয়েছে করোনার জীবনদায়ী ওষুধ রেমডেসিভিরের ৮৫০ ভায়েল। মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার ফলে ওষুধগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ২৫ লক্ষ থেকে সাড়ে ২৫ লক্ষ টাকা।
করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ রেমডেসিভির। যার মেয়াদ ছ’মাস এবং এক একটি ভায়েলের দাম তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় অত্যাধিক প্রয়োজন হয়ে ওঠে রেমডেসিভির। তখন স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রতিটি হাসপাতালে ওই ওষুধ পাঠানো হয়েছিল । তবে এরপর রোগী কমে যাওয়ায় নাকি বাকী ওষুধগুলো পড়ে পড়ে নষ্ট হয়। সূত্রের খবর, কেবল শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে নয়, কলকাতার বাকি হাসপাতালেও অনেক ওষুধ নষ্ট হয়েছে ।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় দেশে রেমডেসিভিরের চাহিদা ছিল আকাশ ছোঁয়া। কেন্দ্র অ্যান্টি-ভাইরাল লিক্যুইড রেমডেসিভিরের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যতদিন না করোনা পরিস্থিতি কিছুটা আয়ত্তে আসছে ততদিন পর্যন্ত রেমডেসিভির বিদেশে রফতানি করা যাবে না। এরপর যেসব সংস্থা ওই ওষুধ তৈরি করে তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। সংস্থাগুলিকে তাদের কাছে মজুত রেমডেসিভিরের সংখ্যা ও পরিমাণ তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এখন কথা হল এত লক্ষ লক্ষ টাকার জীবনদায়ী ঔষধ যে নষ্ট হয়ে গেল এর দায় কে নেবে? এত জীবনদায়ী ঔষুধ পর্যাপ্ত থাকা স্বত্তেও এত রোগী বিনা ঔষুধে কেন প্রাণ হারানো?এত যে কালোবাজারী চললো ঔষুধ নিয়ে এর কি কোন শাস্তি হবে না ? স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ করা হচ্ছে তিনি যেন এই বিষয়ে একটু নজর দেন।
হাসপাতালেই নষ্ট ২৫ লক্ষ টাকার রেমডেসিভির । এম ভারত নিউজ
Read Time:3 Minute, 33 Second